পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হামিরের বিবাহ।
১৯

রের বিবাহের সম্বন্ধ করিয়া একজন দূত হামিরের নিকট প্রেরণ করিলেন। নারিকেল ফল হস্তে করিয়া দূত হামিরের নিকট আসিয়া উপস্থিত। নারিকেল ফল দেখিয়া বুঝিলেন তাঁহার বিবাহেয় সম্বন্ধ আসিয়াছে। জিজ্ঞাসা করিয়া সকল কথা শুনিলেন। হামির এবং তাঁহার বন্ধুগণ সকলেই এ ঘটনায় আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন। মালদেব শত্রুকে কন্যাদান করিবেন, ইহার অর্থ কি? নিশ্চয় ইহার ভিতর কোন গৃঢ় অভিসন্ধি নিহিত আছে। হামিরের বন্ধুগণ হামিরকে এ বিবাহ অস্বীকার করিবার জন্য বারম্বার অনুরোধ করিতে লাগিলেন। হামির কিছুতেই শুনিলেন না। বলিলেন, “বন্ধুগণ, বিবাহ সম্বন্ধ লইয়া উপস্থিত হইলে অস্বীকার করা ক্ষত্রিয় তনয়ের অনুচিত কার্য্য, তাহা কি আপনারা জানেন না? আমি আজ কাপুরুষের মত এই চিরপ্রচলিত নিয়মের অন্যথা করি কিরূপে? মালদেব আমার বিনাশের জন্য চাতুরী করিয়াছেন! ভালই! একদিনের জন্যও যদি আমি আমার পিতৃপুরুষের লীলাভূমি পবিত্র চিতোরে পদার্পণ করিতে পারি, সার্থক জীবন আমার! আমার অদৃষ্টে যাহাই হউক, আমি এ সম্বন্ধ স্বীকার করিতে বাধ্য।” শুভদিনে শুভলগ্নে হামিরের বিবাহ স্থির হইল। হামির