পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাণা সঙ্গ বা সংগ্রামসিংহ।
৩৫

করিলেন। সকলেই নীরব—কাহার মুখে বাক্য নাই। কিয়ৎক্ষণ পরে পৃথ্বীরাজ তাঁহাদিগের আগমনের কারণ সন্ন্যাসিনীকে জ্ঞাপন করিলেন। সন্ন্যাসিনী কোন বাক্যই উচ্চারণ না করিয়া অঙ্গুলি সঙ্কেত দ্বারা ব্যাঘ্রচর্ম্ম দেখাইয়া দিলেন। জ্যেষ্ঠ সহােদরের সৌভাগ্যের কথা জানিয়া পৃথ্বীরাজ ক্রোধে অন্ধ হইলেন এবং তৎক্ষণাৎ তাঁহাকে হত্যা করিবার জন্য ধাবিত হইলেন। সূর্য্যমল্ল সঙ্গকে রক্ষা করিবার জন্য অগ্রসর হইলেন। দেবীমন্দিরে তুমুল যুদ্ধের অভিনয় হইল। সকলেই অত্যধিক পরিমাণে আহত হইলেন। সঙ্গের একটী চক্ষু নষ্ট হইয়া গেল। ভ্রাতৃগণের রক্তে পবিত্র মন্দির কলুষিত হইল। সন্ন্যাসিনী এই দৃশ্য দেখিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিলেন। পৃথ্বীরাজও গুরুতররূপে আহত হইয়াছিলেন; কিন্তু তাঁহার প্রচণ্ড ক্রোধ কিছুতেই প্রশমিত হইবার নহে। দন্তে দন্ত ঘর্ষণ করিয়া সঙ্গের সর্ব্বনাশ সাধন করিবার জন্য তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন। সঙ্গ দেখিলেন, পৃথ্বীরাজের সহিত পিতৃগৃহে বাস করা অসম্ভব। তিনি ছদ্মবেশে নিরুদ্দেশ হইয়া দেশে দেশে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। তাহাতেও পৃথ্বীরাজের জিঘাংসা প্রশমিত হইল না। তিনি ভ্রাতার নিধনের জন্য দেশে দেশে গুপ্তচর নিযুক্ত করিলেন। সঙ্গ মিবারের রাজ-