পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
মিবার-গৌরব-কথা।

করিলে শক্রদিগের হৃদ্‌কম্প উপস্থিত হইত। দিল্লীর সাম্রাজ্যের তখন পতনদশা, দিল্লীর সম্রাট সংগ্রাম সিংহের নিকট হতমান হইয়া একেবারে নিষ্প্রভ হইয়া পড়িয়া ছিলেন। খোরসানের অধিপতি বীরবর বাবর সুযোগ বুঝিয়া ভারত সাম্রাজ্যে পদার্পন করিয়া পাণিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করিয়া দিল্লীর সিংহাসন অধিকার করিলেন। দৃঢ় অধ্যবসায়, কঠোর সহিষ্ণুতা এবং অসাধারণ উদ্যমশীলতার অসাধ্য কি আছে? বাবর যে বিজয়ী হইলেন তাহাতে আর বিচিত্র কি?

 বাবর দিল্লীর সিংহাসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হইয়া প্রচণ্ড প্রতাপান্বিত সংগ্রাম সিংহের দর্প চূর্ণ করিবার জন্য চিতোরের অভিমুখে ধাবিত হইলেন। সংগ্রাম সিংহও নিশ্চিন্ত ছিলেন না। তিনিও বাবরের সম্মুখীন হইবার জন্য বিধিমতে প্রস্তুত হইলেন। বিয়ানার নিকটবর্ত্তী কনুয়ানামক স্থানে উভয়ের সৈন্যদলের সাক্ষাৎ হইল। অচিরে ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইল। প্রথম যুদ্ধে যবন সেনা বিধ্বস্ত বিক্ষিপ্ত হইয়া ইতস্ততঃ পলায়ন করিল।— বাবর শাহ অপর এক বাহিনী লইয়া নিকটেই ছিলেন। তিনি ভগ্নদূত মুখে সমুদায় বার্ত্তা শ্রবণ করিয়া আবার সমুদায় ছত্রভঙ্গ সৈন্যদিগকে একত্রিত করিয়া যুদ্ধে