পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ধাত্রী পান্না।
৪৫

সিংহের শিশু পুত্র উদয়সিংহ তখন ছয় বৎসরের বালক। বালকের অপ্রাপ্ত বয়সকালে বনবীর রাজ্য-রক্ষক হইয়া রাজকার্য্য সমাধা করিবেন এইরূপ স্থিরীকৃত হইল। কিন্তু রাজশক্তির আস্বাদনে বনবীরের স্বভাব বিকৃত হইয়া উঠিল—নিষ্কণ্টকে বংশ পরম্পরায় রাজপদে প্রতিষ্ঠিত থাকিবার বাসনা তাঁহার হৃদয়ে প্রবল হইল। তখন বিক্রমজিৎ এবং বালক উদয়কে হত্যা করিবার জন্য বনবীর কৃতসংকল্প হইলেন। তাঁহার এ গুপ্ত অভিসন্ধির কথা কেহই জানিল না।

 একদিন দিবসের কার্য্য সমাপনান্তে সকলে আপন আপন কক্ষে সমাগত হইয়াছে। রাজপ্রাসাদে দীপমালা প্রজ্বলিত হইয়াছে। ক্রীড়াশীল বালক উদয় দিবাশেষে ধাত্রী মাতার গৃহে সমাগত। ধাত্রী পান্না পরম আদরে বালককে ক্রোড়ে লইয়া যথানিয়মে পান ভোজন করাইয়া তাহাকে শয্যায় শয়ন করাইয়া পার্শ্বে বসিয়া পরিচর্য্যা করতে লাগিল। এমন সময়ে সহসা অন্তঃপুরে ঘোর কোলাহল উপস্থিত হইল। প্রাসাদের অদূরে ক্রন্দনের রোল উত্থিত হইল। পান্না চকিত বিস্মিত হইয়া দণ্ডায়মান হল। সেই মুহূর্ত্তে এক ভৃত্য দৌড়িয়া আসিয়া সংবাদ দিল যে, বনবীর বিক্রমজিৎকে হত্যা করিয়াছে। বুদ্ধিমতী