পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
মিবার-গৌরব-কথা।

পান্না নিমেষে হৃদয়ঙ্গম করিল বনবীর বিক্রমজিৎকে হত্যা করিয়াই নিবৃত্ত হইবে না, অচিরে আসিয়া শিশু উদয়কে হত্যা করিবে। চক্ষের নিমেষে পান্নার কর্ত্তব্য নির্ণয় হইয়া গেল।—সর্ব্বস্ব পণ করিয়াও সংগ্রামসিংহের বংশধরকে রক্ষা করিতেই হইবে। নিদ্রিত উদয়সিংহকে ক্রোড়ে লইয়া ত্বরায় তাহাকে এক পুষ্পকরন্তিকায় রাখিয়া তাহাপত্রপুষ্পে আচ্ছাদন করিয়া ভৃত্যকে আদেশ করিল, “ত্বরায় ইহা লইয়া দৃষ্টির বাহিরে গমন করিয়া কোন নিরাপদ স্থানে রক্ষা কর। আমি ত্বরায় যাইতেছি।” উদয়কে প্রেরণ করিয়া পান্না বিবেচনা করিল, শূন্য শয্যা দেখিলে বনবীর সকলই জানিতে পারিবে। তখন আপনার নিদ্রিত শিশুপুত্রকে আনিয়া প্রতাপের শয্যায় শয়ন করাইল। স্বচক্ষে পুত্রের নিধন দেখিতে পারিবে না মনে করিয়া পান্না ত্বরিতে গৃহত্যাগ করিবার উদ্যোগ করিতেছে। এমন সময় বনবীর দ্রুতবেগে রক্তাক্ত উন্মুক্ত অসি হস্তে লইয়া সেই গৃহে উপস্থিত হইয়াই—বিকট স্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “ধাত্রী রাজকুমার উদয়সিং কই—” ধাত্রী নীরব, মুখে বাক্যস্ফূর্ত্তি হইল না। বনবীর গর্জ্জন করিয়া বলিয়া উঠিল, “দেখিতেছ না আমার হস্তে উন্মুক্ত অসি? শীঘ্র বল কোথায় উদয়।” ধাত্রী অঙ্গুলিসঙ্কেতে