পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
মিবার গৌরব কখা।

সংবাদ পাইলেন। তিনি একগাছি অমরধব লইয়া পুত্রের মুখ দেখিতে গেলেন এবং যদিও ভীম অগ্রে ভূমিষ্ঠ হইয়াছিল, তথাপি সেই প্রিয়তমা রাণীর পুত্রের হস্তে অমরধব পরাইয়া তাহার মুখে চুম্বন দিয়া তাহাকে কোলে লইলেন। সেইক্ষণ হইতে কনিষ্ঠ ভ্রাতা জয়সিংহ পিতার আদর যত্নের অধিকারী হইল। অভাগা ভীম জন্মাবধি পিতৃস্নেহে একপ্রকার বঞ্চিত ছিল। দেখিতে দেখিতে শােভায়, সৌন্দর্য্যে, বীরদর্পে ভীম পূর্ণাবয়ব হইয়া উঠিল। জয়সিংহও বীরশিশু; কিন্তু ভীম সকল বিষয়েই তাহা হইতে শ্রেষ্ঠ একথা সকলেই বুঝিত, কেবল পিতা রাজসিংহ বুঝিতেন না। যদি বা তাহাদিগের পার্থক্য বুঝিতে পারিতেন, তবে মনে মনে ভীমের সকল শ্রেষ্ঠতা জয়সিংহ কেন পাইল না বলিয়া ক্ষুব্ধ হইতেন! কিন্তু পাছে জয়সিংহের প্রতি তাঁহার এত স্নেহ দেখিয়া ভীমের হিংসা হয় এই ভয়ে সর্ব্বদা সাবধান থাকিতেন। তাঁহার মনে সর্ব্বদাই চিন্তা, সর্ব্বদাই আতঙ্ক হইত যে তাঁহার মৃত্যুর পর দুই ভ্রাতা রাজ্য লইয়া ঘোর বিবাদ করিয়া মিবার ভূমি শ্মশান করিবে। ভীমসিংহের হস্তে হয় ত জয়সিংহ প্রাণ হারাইবে! কিন্তু কি উপায় করিবেন কিছুই বুঝিতে পারিতেন না। একদিন ভাবিতে ভাবিতে তাঁহার