পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
মিবার-গৌরব কথা।

করিয়া স্মৃতি-ভাণ্ডারে সঞ্চিত হইয়াছে। রাজপুতের বীরত্বলীলা সমাপ্ত হইয়াছে বটে; কিন্তু এই বর্ত্তমান যুগের প্রাক্‌কালেই একটী সুকুমারী সৌন্দর্য্যময়ী রাজপুতবালিকা জাতীয় মহত্ব ও আত্মত্যাগের অতুল দৃষ্টান্ত দেখাইয়া তদানীন্তন ভারতবাসী-ইংরাজদিগকেও বিস্মিত ও চমকিত করিয়া দিয়াছিল!—সে বীরবালা, উদয়পুরের রাণী ভীমসিংহের ষোড়শবর্ষীয়া কন্যা ভুবনমোহিনী কৃষ্ণকুমারী। কৃষ্ণকুমারী কুক্ষণে অতুলরূপের আধার হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। যে সৌন্দর্য্য বাল্যে জনক জননী এবং পৌরজনদিগকে মুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল তাহাই যৌবনে তাহার পিতৃরাজ্যকে ভীষণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করিয়া তুলিল। জয়পুরের রাণা জগৎ সিংহ এবং যোধপুরের অধিপতি মানসিংহ উভয়েই কৃষ্ণার পাণিগ্রহণের জন্য সর্ব্বস্ব পণ করিলেন। বিপুল বাহিনী লইয়া উভয়েই রাণার রাজ্য আক্রমণ করিলেন। ভীমসিংহ জয়পুরাধিপতি জগৎ সিংহের সহিত কৃষ্ণার বিবাহ সম্বন্ধ এক প্রকার স্থির করিয়াছিলেন কিন্তু মানসিংহ তাহাতে প্রতিবাদী হইলেন। তিনি রাণা ভীম সিংহকে বলিয়া পাঠাইলেন “কৃষ্ণকুমারী তাঁহার হস্তে সমর্পিতা না হইলে উদয়পুর রাজ্যের সর্ব্বনাশ হইবে।” এই সময়ে রাজ-