পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষ্ণকুমারী।
৭৭

হইলেন না। অবশেষে ভীষণতম হলাহল প্রস্তুত হইল। কৃষ্ণা বুঝিলেন এবার তাঁহার রক্ষা নাই। হাসিয়া বিষভাণ্ড হস্তে লইয়া বলিলেন “এবার তোমাদের আয়াস বিফল হইবে না—দাও এই শেষ! দেবাদিদেব আমার পিতার দীর্ঘ জীবন এবং পূর্ণ সৌভাগ্য প্রদান করুন— জনক জননীর চরণে আমার অসংখ্য প্রণিপাত—জননীকে সান্তনা দিও-বিদায়।”—হায় সেদিন রাজস্থানের নির্ম্মল নলিনী অকালে শুষ্ক হইল! এই কি স্বর্গীয় সৌন্দর্য্যের পরিণাম! হেমলক বিষপান করিয়া জ্ঞানী-শ্রেষ্ঠ পরম ধার্ম্মিক সক্রেটিস মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিয়া অমর হইয়াছেন। আজ এই সরলা বালিকা পিতৃদত্ত কালকুট পান করিয়া প্রসন্ন বদনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিল। প্রবীন সক্রেটিসের জ্ঞানবল ধর্ম্মবল ছিল, এ বালিকা কোন দৈব বলে বলী হইয়া এই দুরন্ত কার্য্য প্রসন্ন বদনে সাধন করিল! এ কি বিস্ময়কর ব্যাপার! কৃষ্ণকুমারীর আত্মবলিদান উপন্যাস নহে,কবি-কল্পনা নহে,উনবিংশ শতাব্দীতে ইংরাজজাতির শ্রুতিগোচরে এই অশ্রুতপূর্ব্ব ব্যাপারের অভিনয় হইয়াছে? ধন্য কৃষ্ণকুমারী! ধন্য তোমার আত্মবলিদান! তুমি রাজপুতজাতির গৌরব কথার শেষ নিদর্শন! পুরুষকার, বীরত্বগৌরব, মহত্ব রাজপুত জাতির