পাতা:মীরকাসিম - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o) &\tr মীর কাসিম সব ফুটিয়া উঠিয়াছে। * * এই সে কাতরা বালিকা-বাত্যাতাড়িত, প্ৰস্ফুটিত কুসুম-তরঙ্গোৎপীড়িত প্রমোদ নৌকা-ইহাকে লইয়া কি করিব-কোথায় রাখিব ? সয়তান আসিয়া তিকির কাণে কাণে বলিল -3 (35’ “তকি বলিল, শুন সুন্দরি-আমাকে ভজ-বিষ খাইতে হইবে না।” “শুনিয়া দলনী-লিখিতে লজা করে-মহম্মদ তাকিকে পদাঘাত করিলেন। মহম্মদ তকির; বিষদান করা হইল না-মহম্মদ তাকি দলনীর প্ৰতি, অৰ্দ্ধদৃষ্টিতে চাহিতে চাহিতে ধীরে, ধীরে, ধীরে, ফিরিয়া গেল।” দলনী। কিন্তু বঁচিল না । উপন্যাসের নায়িকা-রঙ্গমঞ্চের নয়নানন্দদায়িকা-পাঠক-পাঠিকার বিস্ময়োৎপাদনকারিকা-সুন্দরী, নবীন, যুবতী, অথচ “কাতরা বালিকা ।” বিশেষ সে যখন এত বড় একজন মোগল মহাবীরকেশরীকে কুসুমলোভনীয় “পদ পল্লবমুদারিং” তুলিয়া লাথি মারিতে সাহস পাইয়াছিল, তখন সে কি না পারিত ? সে গোপনে বিষ আনাইয়া ভোজন করিল। দলনী মরিল ! এ সকল কথা অধিক দিন গোপন রহিল না। বাদী কুলসম সময় পাইয়া, আম-দরবারে সর্বজনসমক্ষেই, এক এক করিয়া সকল কথা নবাবের কর্ণগোচর করিয়া দিল । নবাব ওমরাহ দিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন ;- “তোমরা শুন, এ রাজ্য আমার রক্ষণীয় নহে ; এই বঁাদী যাহা বলিল, তাহা সত্য-বাঙ্গালার নবাব মুর্থ। তোমরা পার সুবা রক্ষা কর, আমি চলিলাম। আমি রুহিদাসের গড়ে স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে লুকাইয়া থাকিব, অথবা ফকিরি গ্ৰহণ করিব।”-বলিতে বলিতে নবাবের বলিষ্ঠ শরীর, প্ৰবাহ মধ্যে রোপিত বংশখণ্ডের ন্যায় কঁাপিতেছিল ;-চক্ষের জল সম্বরণ করিয়া মীর কাসেম বলিতে লাগিলেন, “শুন বন্ধুবৰ্গ ! যদি আমাকে সিরাজদ্দৌলার ন্যায়, ইংরেজে বা তাহদের অনুচর মারিয়া ফেলে, তবে