পাতা:মীরকাসিম - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS 8 भैद्र कानिभ নালা পার হইয়া, সেতু ভগ্ন করিয়া দিলেন ; যাহারা নালা পার হইতে পারিল না, তাহারা ইংরাজ-সেনার সঙ্গিনবিদ্ধ হইয়া প্ৰাণত্যাগ করিল। যুদ্ধ শেষ হইবার পর সপ্তাহ মধ্যে আহতগণের চিকিৎসার সুব্যবস্থা হইতে পারিল না ; ইংরাজিদিগের আহত সেনাগণ যুদ্ধক্ষেত্রেই পড়িয়া রহিল। সেনাপতি প্ৰত্যহ তাহাদিগকে পরিদর্শন করিয়া অন্ন জল প্ৰদান করিতেন, কিন্তু অনেকের পক্ষেই অচিকিৎসায় ক্ষতস্থানের যন্ত্রণা অসহ্যু uD uDuuDL DBDBSS S BDLEBD DBBDBDS SDBBBDS SYBDBHBDBD ব্যবস্থা হইয়াছিল । সম্রাট শাহ আলম যুদ্ধভূমির নিকটেই শিবির সংস্থাপিত করিয়া, নিরপেক্ষ দর্শকের ন্যায় বকসারের যুদ্ধ দর্শন করিতেছিলেন, ইংরাজপক্ষ জয়লাভ করিবামাত্র তিনি তঁহাদিগকে অভিনন্দন করিলেন, এবং আপনাকে সম্পূর্ণরূপে ইংরাজের হিতাকাজকী বলিয়া ঘোষণা করিতে ক্ৰটি করিলেন না । তিনি ইংরাজিদিগকে বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানী এবং অযোধ্যার উজীরি প্রদান করিতে চাহিলেন । মেজর মনরো তাহার রক্ষণাবেক্ষণের ভার গ্রহণ করিয়া, কলিকাতায় সংবাদ প্রেরণ করিলেন । যে তিন জন মুসলমান নরপতি মুসলমান-শাসন সুদৃঢ় করিবার জন্য ধৰ্ম্মপ্ৰতিজ্ঞায় আবদ্ধ হইয়াছিলেন, তঁহাদের মধ্যে নিরুপায় হইয়া, মীর কাসিম ফকিরি গ্রহণ করিলেন ; শাহ আলম ইংরাজ হস্তে আত্মসমৰ্পণ করিলেন ; সুজা-উদ্দৌলা রণপিরাজিত হইয়া স্বরাজ্যে পলায়ন করিতে ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। সকলই যেন স্বপ্নের মত অকস্মাৎ সংঘটিত হইয়া গেল । মীর কাসিমের কি হইল ? সে করুণ কাহিনী বর্ণনা করিবার উপযুক্ত ঐতিহাসিক বিবরণ সংগ্ৰহ করিবার উপায় নাই । তিনি সুজা-দৗলার শিবির হইতে মুক্তিলাভ করিয়া, অধিক দূর গমন করিবার পূর্বেই বকসার যুদ্ধের পলায়ন-পরায়ণ সেনাদল চারিদিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়া