পাতা:মীরকাসিম - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা ‘সাহিত্য” ও “ভারতী’ পত্রিকায় মীর জাফর ও মীর কাসিম সম্বন্ধে যে সকল প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হইয়াছিল, তাহা সংশোধিত ও পরিবদ্ধিত কলেবারে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইল । পুস্তক সঙ্কলন করিতে গিয়া যে সকল পুরাতন গ্রন্থের আলোচনা করিতে হইয়াছে, যথাস্থানে তাহার কথা উল্লিখিত হইয়াছে। মীর কাসিম যে যুগে বৰ্ত্তমান ছিলেন, তাহা বঙ্গভূমির বিচিত্র ইতিহাসের বিস্ময়াবহ বিপ্লব যুগ। পুরাতন খসিয়া পড়িতেছে, নূতন আসিয়া তাহার স্থান অধিকার করিতেছে ;-মীর কাসিম সেই সময়ে পুরাতনকে বঁাধিয়া রাখিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহা ভাল কি মন্দ, তাহার সহিত গ্রন্থের সম্বন্ধ নাই। কিরূপে পুরাতন ভাসিয়া গেল, কিরূপেই বা নূতনের অভু্যুদয় হইল, তাহারই কাৰ্য্যকারণশ্বাস্থলা প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক চিত্রে পার্থক্য আছে। ইতিহাস পূর্ণাঙ্গ, ঐতিহাসিক চিত্র পূর্ণাঙ্গ নহে। চিত্রে সকল অংশ সমানভাবে ফুটিয়া উঠিতে পারে না । মীর কাসিমের অপরাধ ছিল না, এমন নহে ; তথাপি গুণাবলীরও অভাব ছিল না । স্বদেশের শিল্পবাণিজ্য রক্ষা করিবার জন্য বদ্ধপরিকর না হইলে, মীর কাসিমের সর্বনাশ হইত না । বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন মুসলমান নবাব প্ৰজা-রক্ষার জন্যই আত্মবিসর্জন করিয়াছিলেন ;-তাহাই মীর কাসিমের ইতিহাসের প্রধান কথা । সে কথা যথাসাধ্য আলোচিত হইয়াছে। অলমতি বিস্তরেণ । রাজসাহী, स्टॉ04, ३७४२ नांव শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয়