পাতা:মুকুট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মুকুট

 যুবরাজ। সে কী কথা ভাই, তোমার সঙ্গে তো রোজই যাচ্ছি।

 ইন্দ্রকুমার। তাই বুঝি পুরোনো হয়ে গেছে।

 যুবরাজ। আমার কথা অমন উলটো বুঝলে বড়ো ব্যথা লাগে।

 ইন্দ্রকুমার। না দাদা, ঠাট্টা করছিলুম,— চলো প্রস্তুত হই গে।

 ইশা খাঁ। ইন্দ্রকুমার বুকে দশটা বাণ সইতে পারে কিন্তু দাদার সামান্য অনাদরটুকু সইতে পারে না।

[অনুচরগণ ব্যতীত সকলের প্রস্থান

অনুচরগণ

 প্রথম। কথাটা তো ভালো ঠেকছে না হে। আমাদের ছোটো কুমারের ধনুর্বিদ্যার দৌড় তো সকলেরই জানা আছে— উনি মধ্যম কুমারের সঙ্গে অস্ত্রপরীক্ষায় এগোতে চান এর মানে কী?

 দ্বিতীয়। কেউ বা তীর দিয়ে লক্ষ্য ভেদ করে, কেউ বা বুদ্ধি দিয়ে।

 প্রথম। সেই তো ভয়ের থা। অস্ত্রপরীক্ষায় অস্ত্র না চালিয়ে যদি বুদ্ধি চালাও সেটা যে দুষ্টবুদ্ধি।

 তৃতীয়। দেখো, বংশী, অস্ত্রই চলুক আর বুদ্ধিই