পাতা:মুকুট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মুকুট
১১

প্রথম খোপটি থেকে তাঁর নামলেখা তীরটি তুলে নিয়ে আমার নামলেখা তীর বসিয়ে আসতে হবে। তাঁর সঙ্গে আমার তীর বদল করতে হবে, ভাগ্যও বদল হবে।

 ধুরন্ধর। সবই যেন বুঝলুম কিন্তু আমার প্রাণটি? সেটি গেলে তো কারও সঙ্গে বদল চলবে না।

 রাজধর। তোমার কোনো ভয় নেই, আমি আছি।

 ধুরন্ধর। তুমি তো বরাবরই আছ, কিন্তু ভয়ও আছে। সেই যখন ইন্দ্রকুমারের রুপোর পাত দেওয়া ধনুকটার উপরে তুমি লোভ করলে আমিই তো সেটি সংগ্রহ করে তোমার ঘরে এনে লুকিয়ে রেখেছিলুম— শেষকালে যখন ধরা পড়লে, ইন্দ্রকুমার ঘৃণা করে সে-ধনুকটা তোমাকে দান করলেন কিন্তু আমার যে-অপমানটা করলেন সে আমার জীবন গেলেও যাবে না। তখনো তো, ভাই, তুমি ছিলে—রক্ষা যত করেছিলে সে আমার মনে আছে।

 রাজধর। এবার তোমার সময় এসেছে- সেই অপমানের শোধ দেবার জোগাড় করো।

 ধুরন্ধর। সময় কখন কার আসে সেটা যে পরিষ্কার বোঝা যায় না। দুর্বল লোকের পক্ষে অপমান পরিপাক করবার শক্তিটাই ভালো; শোধ তোলবার শখটা তার