পাতা:মুকুট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মুকুট
১৩

দ্বিতীয় দৃশ্য

ইন্দ্রকুমারের অস্ত্রশালার দ্বার

 ইন্দ্রকুমার। কী হে প্রতাপ, ব্যাপারখানা কী। আমাকে হঠাৎ অস্ত্রশালার দ্বারে যে ডাক পড়ল?

 প্রতাপ। মধ্যম বৌরানীমা আপনাকে খবর দিতে বললেন যে, আপনার অস্ত্রশালার মধ্যে একটি জ্যান্ত অস্ত্র ঢুকেছেন, তিনি বায়ু-অস্ত্র, না নাগপাশ, না কী, সেটা সন্ধান নেওয়া উচিত।

 ইন্দ্রকুমার। বল কী প্রতাপ, কলিযুগেও এমন ব্যাপার ঘটে নাকি।

 প্রতাপ। আজ্ঞে, কুমার, কলিযুগেই ঘটে, সত্যযুগে নয়। দরজাটা খুললেই সমস্ত বুঝতে পারবেন।

 ইন্দ্রকুমার। তাই তো বটে, পায়ের শব্দ শুনি যে।

[দ্বার খুলিতেই রাজধরের নিষ্ক্রমণ

এ কী! রাজধর যে। হা হা হা হা, তোমাকে অস্ত্র বলে কেউ ভুল করেছিল নাকি। হা হা হা হা।

 রাজধর। মেজবৌরানী তামাশ। ক’রে আমাকে এখানে বন্ধ করে রেখেছিলেন।

 ইন্দ্রকুমার। এ ঘরটা তো সহজ তামাশার ঘর না—