করেন না। তাঁর জন্যে যে-সব ছিদ্রপথ থাকে সে কারও চোখে পড়ে না।
বিভূতি। (চমকিয়া) ছিদ্র? সে আবার কী? ছিদ্রের কথা তুমি কী জান?
দূত। আমি কি জানি? যাঁর জানবার দরকার তিনি জেনে নেবেন।
দূতের প্রস্থান
উত্তরকূটের নাগরিকগণ উৎসব করিতে মন্দিরে চলিয়াছে।
বিভূতিকে দেখিয়া
১। বাঃ যন্ত্ররাজ, তুমি তো বেশ লোক! কখন ফাঁকি দিয়ে আগে চলে এসেছ টেরও পাই নি।
২। সে তো ওর চিরকালের অভ্যেস। ও কখন ভিতরে ভিতরে এগিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে চলে যায় বোঝাই যায় না। সেই তো আমাদের চবুয়া গাঁয়ের নেড়া বিভূতি, আমাদের একসঙ্গেই কৈলেস-গুরুর কানমলা খেলে, আর কখন্ সে আমাদের সবাইকে ছাড়িয়ে এসে এতবড়ো কাণ্ডটা করে বসল।
৩। ওরে গব্রু, ঝুড়িটা নিয়ে হাঁ করে দাঁড়িয়ে রইলি কেন? বিভূতিকে আর কখনও চক্ষে দেখিস নি কি? মালাগুলো বের কর্, পরিয়ে দিই।
বিভূতি। থাক্ থাক্, আর নয়।
৩। আর নয় তো কী? যেমন তুমি হঠাৎ মস্ত হয়ে উঠেছ তেমনি তোমার গলাটা যদি উটের মতো হঠাৎ লম্বা হয়ে উঠত আর উত্তরকূটের সব মানুষে মিলে তার উপর তোমার গলায় মালার বোঝা চাপিয়ে দিত তাহলেই ঠিক মানাত।
২। ভাই, হরিশ ঢাকি তো এখনও এসে পৌঁছল না।
১। বেটা কুঁড়ের সদ্দার—ওর পিঠের চামড়ায় ঢাকের চাঁটি লাগালে তবে—
১৪