নিয়ে গেল। এ পথের শেষ কি নেই? সুমন কি তবে এখনো চলেছে, কেবলই চলেছে—পশ্চিমে গৌরীশিখর পেরিয়ে যেখানে সূর্য ডুবছে, আলো ডুবছে, সব ডুবছে?
রণজিৎ। মন্ত্রী, এ বুঝি—
মন্ত্রী। হাঁ মহারাজ, সেই বাঁধ বাঁধার কাজেই—
রণজিৎ। (অম্বাকে) তুমি খেদ কোরো না। আমি জানি পৃথিবীতে সকলের চেয়ে চরম যে দান তোমার ছেলে আজ তাই পেয়েছে।
অম্বা। তাই যদি সত্যি হবে তা হলে সে দান সন্ধেবেলায় সে আমার হাতে এনে দিত, আমি যে তার মা।
রণজিৎ। দেবে এনে। সেই সন্ধে এখনও আসে নি।
অম্বা। তোমার কথা সত্যি হক বাবা। ভৈরবমন্দিরের পথে পথে আমি তার জন্যে অপেক্ষা করব। সুমন!
অদূরে গাছের তলায় উত্তরকূটের গুরুমশায় প্রবেশ করিল
গুরু। খেলে, খেলে, বেত খেলে দেখছি। খুব গলা ছেড়ে বল্, জয় রাজরাজেশ্বর।
ছাত্রগণ। জয় রাজরা—
গুরু। (হাতের কাছে দুই-একটা ছেলেকে থাবড়া মারিয়া) জেশ্বর।
ছাত্রগণ। জেশ্বর।
গুরু। শ্রী শ্রী শ্রী শ্রী শ্রী—
ছাত্রগণ। শ্রী শ্রী শ্রী—
গুরু। (ঠেলা মারিয়া) পাঁচবার।
ছাত্রগণ। পাঁচবার।
২২