গণেশ। আমাদের দেবতাকে দেখ নি? প্রত্যক্ষ দেবতা? আমাদের ধনঞ্জয় ঠাকুর? তার একটা দেহ মন্দিরে, একটা দেহ বাইরে।
উ ৩। কান-ঢাকারা বলে কী? ওদের মরণ কেউ ঠেকাতে পারবে না।
ধনঞ্জয়। কী বলছিলি রে বোকা? আমারই উপর তোদের বাঁচাবার ভার? তা হলে তো সাতবার মরে ভূত হয়ে রয়েছিস।
গণেশ। উত্তরকূটের ওরা আমাদের শাসিয়ে গেল যে, বিভূতি মুক্তধারার বাঁধ বেঁধেছে।
ধনঞ্জয়। বাঁধ বেঁধেছে বললে?
গণেশ। হাঁ, ঠাকুর।
ধনঞ্জয়। সব কথাটা শুনলি নে বুঝি?
গণেশ। ও কি শোনবার কথা? হেসে উড়িয়ে দিলুম।
ধনঞ্জয়। তোদের সব কানগুলো একা আমারই জিম্মায় রেখেছিস? তোদের সবার শোনা আমাকেই শুনতে হবে?
শি ৩। ওর মধ্যে শোনবার আছে কী ঠাকুর?
ধনঞ্জয়। বলিস কী রে? যে শক্তি দুরন্ত তাকে বেঁধে ফেলা কি কম কথা? তা সে অন্তরেই হোক আর বাইরেই হোক।
গণেশ। ঠাকুর, তাই বলে আমাদের পিপাসার জল আটকাবে?
ধনঞ্জয়। সে হল আর-এক কথা। ওটা ভৈরব সইবেন না। তোরা বোস্, আমি সন্ধান নিয়ে আসি গে। জগৎটা বাণীময় রে, তার যে দিকটাতে শোনা বন্ধ করবি সেইদিক থেকেই মৃত্যুবাণ আসবে।