লোক বলছ কাকে?
পথিক। আমরা চবুয়া গাঁয়ের লোক, পষ্ট বোঝাবার বদ অভ্যেসে হাত পাকিয়েছি। (ধাক্কা দিয়া) এইবার বুঝলে তো?
হুব্বা। উঃ, বুঝেছি। ওর সোজা মানে হচ্ছে, আমাকে চলতেই হবে মর্জি থাক্ আর না থাক্। কোথায় চলব? এবার একটু মোলায়েম করে জবাব দিয়ো। তোমার আলাপের প্রথম ধাক্কাতেই আমার বুদ্ধি পরিষ্কার হয়ে এসেছে।
পথিক। শিবতরাইয়ে যেতে হবে।
হুব্বা। শিবতরাইয়ে? এই অমাবস্যারাত্রে? সেখানে পালাটা কিসের?
পথিক। নন্দিসংকটের ভাঙা গড় ফিরে গাঁথবার পালা।
হুব্বা। ভাঙা গড় আমাকে দিয়ে গাঁথাবে? দাদা, অন্ধকারে আমার চেহারাটা দেখতে পাচ্ছ না বলেই এত বড়ো শক্ত কথাটা বললে। আমি হচ্ছি—
পথিক। তুমি যেই হও-না কেন, দুখানা হাত আছে তো?
হুব্বা। নেহাত না থাকলে নয় বলেই আছে, নইলে একে কি—
পথিক। হাতের পরিচয় মুখের কথায় হয় না, যথাস্থানেই হবে— এখন ওঠ্।
দ্বিতীয় পথিকের প্রবেশ
২ পথিক। ওই আর একজন লোককে পেয়েছি কঙ্কর।
কঙ্কর। লোকটা কে?
৩। আমি কেউ না, বাবা, আমি লছমন, উত্তরভৈরবের মন্দিরে ঘণ্টা বাজাই।
কঙ্কর। সে তো ভালো কথা, হাতে জোর আছে। চলো শিবতরাই।
লছমন। যাব তো, কিন্তু মন্দিরের ঘণ্টা—
৭০