পাতা:মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩২
মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত
৩২

________________

মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত চাসা। তা ধর্মাবতার, প্রজারা রোজ রোজ আসে, খাওয়া দাওয়া করে। সাহেব। এ গড়ামের নাম কি? চাসা। চন্ননপুর। সাহেব নোটবুক বাহির করিয়া তাহাতে পেন্সিলে লিখিলেন, For Famine Report “Babu Muchiram Ray, Zemindar of Chinnapur-feeds every day a' large number of his ryots.” | সাহেব তখন ঘোড়ায় চাবুক মারিয়া টাপে চলিলেন। চাস আসিয়া গ্রামে রটাইল, একটা সাহেব টাকায় আট আনা হিসাবে টেক্স বসাইতে আসিয়াছিল, চাস মহাশয়ের বুদ্ধিকৌশলে বিমুখ হইয়াছে। এ দিকে মীওয়েল্ সাহেব যথাকালে ফেমিন্ রিপোর্ট লিখিলেন। একটি পারাগ্রাফ শুধু মুচিরাম রায় সম্বন্ধে। তাহাতে প্রতিপন্ন হইল যে, মুচিরাম জমীদারদিগের আদর্শস্থল। এই দুঃসময়ে অন্নদান করিয়া সকল প্রজাগুলির প্রাণরক্ষা করিয়াছে। | রিপোর্ট কমিশ্যনরীতে গেল। কমিশনরের হস্ত হইতে কিছু উজ্জ্বলতর বর্ণে রঞ্জিত হইয়া—কমিশ্যনর সাহেব লেখক ভাল গবর্নমেন্টে গেল। গবর্ণমেন্টের এই বিবেচনা যে যার প্রজা, সেই যদি দুর্ভিক্ষের সময়ে তাহাদের আহার যোগায়, তাহা হইলেই “দুর্ভিক্ষ প্রশ্নের উত্তম মীমাংসা হয়। অতএব মুচিরামের ন্যায় বদান্য জমীদারদিগকে সম্মানিত ও উৎসাহিত করা নিতান্ত কর্তব্য। তজ্জন্য বাঙ্গাল গবর্নমেন্ট ভারতবর্ষীয় গবর্ণমেন্টের নিকট অনুরোধ করিলেন যে, বাবু মুচিরাম রায় মহাশয়কে—পাঠক একবার হরি হরি বল— রাজাবাহাদুর উপাধি দেওয়া যায়। ইণ্ডিয়ান গবর্ণমেন্ট বলিলেন, তথাস্তু। গেজেট হইল, রাজা মুচিরাম রায় বাহাদুর। তোমরা সবাই আর একবার হরি বল। সম্পূর্ণ