পাতা:মুদ্রা-রাক্ষস.djvu/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়ার কথা । চন্দ্রগুপ্তের পূৰ্ব্বে মহানন্দ মগধের রাজা ছিলেন। শকটার নামে তাহাব এক মন্ত্রী ছিল। কোন কারণে ক্রুদ্ধ হইয়া রাজা মহানন্দ শকটারকে একবার কারাবদ্ধ করেন। সেই অবধি শকটার প্রতিশোধ লইবার মানসে নানা প্রকাব উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। প্রাস্তরে ভ্রমণ করিতে করিতে একদিন দেখিলেন, একজন কৃষ্ণবর্ণ দীর্ঘাকার ব্রাহ্মণ একান্তমনে কুশমূল উন্মলিত করিয়া তক্র ঢালিয়া দিতেছে। জিজ্ঞাসা করায় সেই ব্রাহ্মণ বলিলেন ;–“কিয়দিন হইল এই পথে বিবাহ করিতে যাইতেছিলাম, পদতলে কুশাঙ্কুর বিদ্ধ হইয়া ক্ষতাশৌচ হওয়াতে তাহার ব্যাঘাত হইয়াছে। আমি সেই নিমিত্ত এখানকার সমস্ত কুশমূল উৎপাটিত করিব প্রতিজ্ঞ করিয়াছি”। এইরূপ দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা স্বীয় অভীষ্ট সিদ্ধ হইতে পারে মনে করিয়া তাহাকে বলিলেন : —“যদি আপনি নগরে চতুষ্পাঠ কবিয়া অবস্থান করিতে স্বীকৃত হন, তাহ হইলে আমি এই দণ্ডেই বহুসংখ্য লোক নিযুক্ত করিয়া প্রান্তরটি কুশ-শূন্য করিয়া দিই ।” তাহাতে তিনি সম্মত হইয়া, নগরে গিয়া অধ্যাপনা-কার্য্যে নিযুক্ত হইলেন। ইনিই বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্য । ইতিমধ্যে মহানন্দের পিতৃ শ্রাদ্ধের দিবস আসিয়া উপস্থিত হইল। শকটার চাণক্যকে নিমন্ত্রণ-পূর্বক রাজবাটীতে লইয়া গেলেন, এবং সৰ্ব্বাগ্রে তাহকে পাত্রীয় আসনে বসাইয়া স্বয়ং কোন কাৰ্য্য-ব্যপদেশে তথা হইতে প্রস্থান করিলেন । মহানন্দ সেইখানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, শাস্ত্র নিষিদ্ধ একজন কৃষ্ণবর্ণ ব্রাহ্মণ পাত্রীয় আসনে উপবিষ্ট, এবং কে আনিয়াছে সবিশেষ শুনিয়া ক্রোধে