পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. - মৃণালিনী । . . . . . ." . . হইলেন। ব্রাহ্মণ আশীৰ্ব্বাদ করিয়া কহিলেন, “বংস হেমচন্দ্র, আমি অনেক বিগাৰি ডোমার প্রতীক্ষা করিতেছি।” হেমচন্দ্র বিনীতভাবে কহিলেন, “অপরাধ গ্রহণ করিবেন না, দিল্লীতে কাৰ্য্যসিদ্ধ হয় নাই। পরন্তু যবন আমার পশ্চাদগামী হইয়াছিল; এই জন্ত কিছু সতর্ক হইয়া আসিতে হইয়াছিল। তন্ধেতু বিলম্ব হইয়াছে।” - * * ব্রাহ্মণ কহিলেন, “দিল্লীর সংবাদ আমি সকল শুনিয়াছি। বখতিয়ার খিলিজিকে হাতীতে মারিত, ভালই হইত, দেবতার শত্রু পশু-হস্তে নিপাত হইত। তুমি কেন তার প্রাণ বঁাচাইতে গেলে ।” হেমচন্দ্র। তাহাকে স্বহস্তে যুদ্ধে মারিব বলিয়া। সে আমার পিতৃশত্ৰু, আমার পিতার রাজ্যচোর। আমারই সে বধ্য । ব্রাহ্মণ। তবে তাহার উপর যে হাতী রাগিয়া আক্রমণ করিয়াছিল, তুমি বখতিয়ারকে না মারিয়া সে হাতীকে মারিলে কেন ? " হেমচন্দ্র। আমি কি চোরের মত বিনা যুদ্ধে শত্রু মারিব ? আমি মগধবিজেতাকে যুদ্ধে জয় করিয়া পিতার রাজ্য উদ্ধার করিব। নহিলে আমার মগধ-রাজপুত্র নামে কলঙ্ক। ব্রাহ্মণ কিঞ্চিৎ পরুষভাবে কহিলেন, “এ সকল ঘটনা ত অনেক দিন হইয়া গিয়াছে, ইহার পূৰ্ব্বে তোমার এখানে আসার সম্ভাবনা ছিল। তুমি কেন বিলম্ব করিলে ? তুমি মথুরায় গিয়াছিলে ?” হেমচন্দ্র অধোবদন হইলেন। ব্রাহ্মণ কহিলেন, “বুঝিলাম তুমি মথুরায় গিয়াছিলে, আমার নিষেধ গ্রাহ কর নাই। যাহাকে দেখিতে মথুরায় গিয়াছিলে, তাহার কি সাক্ষাৎ পাইয়াছ ?” এবার হেমচন্দ্র রুক্ষভাবে কহিলেন, “সাক্ষাৎ যে পাইলাম না, সে আপনারই দয়া । মৃণালিনীকে আপনি কোথায় পাঠাইয়াছেন ?” - মাধবাচাৰ্য্য কহিলেন, “আমি যে কোথায় পাঠাইয়াছি, তাহা তুমি কি প্রকারে সিদ্ধাস্তু করিলে ?” * , হে। মাধবাচাৰ্য্য ভিন্ন এ মন্ত্রণ কাহার ? আমি মৃণালিনীর ধাত্রীর মুখে শুনিলাম যে, মৃণালিনী আমার আঙ্গটি দেখিয়া কোথায় গিয়াছে, আর তাহার উদ্দেশ নাই। আমার আঙ্গটি আপনি পাথেয় জন্য চাহিয়া লইয়াছিলেন। আঙ্গটির পরিবর্তে অঙ্ক রক্ট দিতে চাহিয়াছিলাম ; কিন্তু আপনি লন নাই। তখনই আমি সন্দিহান হইয়াছিলাম,