পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$$Ꮡ 瀏 স্ব। তবে অপাতে যাও। এই বলিয়া মৃণালিনী সালে হস্তমোচন অন্ত চেt BBBS BB BBBB BBBBBBB BS BBBB BBB BB B S আমার মনোরথ পূর্ণ হইলেই আমি তোমায় ত্যাগ করিব। এখন তোমার সেই ভগিনী মণিমালিনী কোথায় ?” মৃ। আমিই তোমার ভগিনী। - ব্যে। তুমি আমার সম্বন্ধীর ভগিনী—আমার ব্রাহ্মণীর ভেয়ের ভগিনী—আমার প্রাণাধিক রাধিক ! সৰ্ব্বার্থসাধিক ! এই বলিয়া ব্যোমকেশ মৃণালিনীকে ইস্তদ্বারা আকর্ষণ করিয়া লইয়া চলিল । যখন মাধবাচাৰ্য্য র্তাহাকে হরণ করিয়াছিল, তখন মৃণালিনী স্ত্রীস্বভাবসুলভ চীৎকারে রতি দেখান নাই, এখনও শব্দ করিলেন না। কিন্তু মৃণালিনী আর সহ করিতে পারিলেন না। মনে মনে লক্ষ ব্রাহ্মণকে প্রণাম করিয়া সবলে ব্যোমকেশকে পদাঘাত করিলেন। ব্যোমকেশ লাথি খাইয়া বলিল, “ভাল ভাল, ধন্য হইলাম! ও চরণস্পর্শে মোক্ষপদ পাইব । সুন্দরি । তুমি আমার দ্রৌপদী —আমি তোমার জয়দ্ৰথ ।” 帶 পশ্চাৎ হইতে কে বলিল, “আর আমি তোমার অর্জন ।” অকস্মাৎ ব্যোমকেশ কাতরস্বরে বিকট চীৎকার করিয়া উঠিল, “রাক্ষসি! তোর দস্তু কি বিষ আছে?” এই বলিয়া ব্যোমকেশ মৃণালিনীর হস্ত ত্যাগ করিয়া আপন পৃষ্ঠে হস্তমার্জন করিতে লাগিল। স্পর্শামুভবে জানিল যে পৃষ্ঠ দিয়া দরদরিত রুধির পড়িতেছে। মৃণালিনী মুক্তহস্ত হইয়াও পলাইলেন না। তিনিও প্রথমে ব্যামকেশের স্থায় বিস্মিত হইয়াছিলেন, কেন না তিনি ত ব্যামকেশকে দংশন করেন নাই। ভল্লুকোচিত কাৰ্য্য তাহার করণীয় নহে। কিন্তু তখনই নক্ষত্রালোকে খৰ্ব্বাকৃত বালিকামূৰ্ত্তি সন্মুখ হইতে অপস্থত হইতেছে দেখিতে পাইলেন। গিরিজায় তাহার বসনাকর্ষণ করিয়া মৃত্নস্বরে, “পলাইয়া আইস” বলিয়া স্বয়ং পলায়ন করিল। পলায়ন মৃণালিনীর স্বভাবসঙ্গত নহে। তিনি পলায়ন করিলেন না । ব্যোমকেশ প্রাঙ্গণে দাড়াইয়া আৰ্ত্তনাদ করিতেছে এবং কাতরোক্তি করিতেছে দেখিয়া, তিনি গজেশ্রগমনে নিজ শয়নাগার অভিমুখে চলিলেন। কিন্তু তৎকালে ব্যোমকেশের আর্ক্সনাদে গৃহস্থ সকলেই জাগরিত হইয়াছিল। সম্মুখে হৃষীকেশ। হৃষীকেশ পুত্রকে শশব্যস্ত দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হইয়াছে ? কেন র্যাড়ের মত চীৎকার করিডেছ ?”