পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতিথি-সংকার #, ఉః

  • ম । যুদ্ধ করিবে না, তবে মহাবনে যাইবে কেন ?

হে। যবনদিগকে দেখিতে। ম। যুদ্ধ করিবে না, তবে দেখিয়া কি হইবে ? হে। দেখিলে জানিতে পারিব, কি উপায়ে তাহাদিগকে মারিতে পারিব : মনোরম। চমকিয় উঠিলেন। কহিলেন, “বিশ হাজার মানুষ মারিবে ? কি সৰ্ব্বনাশ ! ছি:৷ ছি!” হে। মনোরমা, তুমি এ সকল সংবাদ কোথায় পাইলে ? ম। আরও সংবাদ অাছে। আজি রাত্রিতে তোমাকে মারিবার জন্য তোমার ঘরে জস্থ্য আসিবে। আজি ঘরে যাইও না। এই বলিয়া মনোরম উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। স্বাদশ পরিচ্ছেদ অতিথি-সৎকার হেমচন্দ্র গৃহে প্রত্যাগমন করিয়া এক সুন্দর অশ্ব সজ্জিত করিয়া তত্বপরি আরোহণ করিলেন ; এবং অশ্বে কশাঘাত করিয়া মহাবনাভিমুখে যাত্রা করিলেন। নগর পার হইলেন ; তৎপরে প্রাস্তুর। প্রাস্তরেরও কিয়দংশ পার হইলেন, এমন সময়ে অকস্মাৎ স্কন্ধদেশে গুরুতর বেদন পাইলেন । দেখিলেন, স্কন্ধে একটি তীর বিদ্ধ হইয়াছে। পশ্চাতে অশ্বের পদধ্বনি শ্রুত হইল। ফিরিয়া দেখিলেন, তিন জন অশ্বারোহী আসিতেছে। হেমচন্দ্র ঘোটকের মুখ ফিরাইয় তাহাদিগের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। ফিরিবামাত্র দেখিলেন, প্রত্যেক অশ্বারোহী তাহাকে লক্ষ্য করিয়া এক এক শরসন্ধান করিল। হেমচন্দ্র বিচিত্র শিক্ষাকৌশলে ৰুরন্থ খুলান্দোলন দ্বারা তীরত্রয়ের আঘাত এককালে নিবারণ করিলেন। - অশ্বারোহিগণ পুনৰ্ব্বার একেবারে শরসংযোগ করিল। এবং ভাহা নিবারিত হইতে না হইতেই পুনৰ্ব্বার শরত্রয় ত্যাগ করিল। :* - এইরূপ অবিরতহন্তে হেমচশ্রেশ্ন উপর বাণক্ষেপ করিতে লাগিল। হেমচন্দ্র তখন বিচিত্র র্যাদিমণ্ডিত চৰ্ম্ম হন্তে লইলেন, এবং তৎসঞ্চালন দ্বারা অবলীলাক্রমে সেই - !, ... ". . . . . . is ...