পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S gg gDD BBB SSSSSS S S উপস্থিত শুনিয়া হেমচন্দ্র বড় কাতর হইবে, বড় রাগ কৱিবে । কৈ, তা ত কিছুই হইল । না। তখন গিরিজায়া কপালে করাঘাত করিয়া ভাবিল, “হায় কি করিলাম । কেন অনর্থঙ্ক এ মিথ্যা রটনা করিলাম ! হেমচন্দ্র ত সুখী হইল দেখিতেছি—বলিয়া গেল— সংবাদ শুভ। এখন ঠাকুরাণীর দশ কি হইবে ?” হেমচন্দ্র যে কেন গিরিজায়াকে বলিলেন, তোমার সংবাদ শুভ, তাহ, গিরিজায়া ভিখারিণী বৈ ত নয়—কি বুঝিবে ? যে ক্রোধভরে, হেমচন্দ্র, এই মৃণালিনীর জন্য গুরুদেবের প্রতি শরসন্ধানে উষ্ঠত হইয়াছিলেন, সেই ছৰ্জ্জয় ক্রোধ হৃদয়মধ্যে সমুদিত হইল। অভিমানাধিক্যে, তুৰ্দ্দম ক্রোধাবেগে, হেমচন্দ্র গিরিজায়াকে বলিলেন, “তোমার সংবাদ শুভ ” গিরিজায় তাহ বুঝিতে পারিল না । মনে করিল, এই ষষ্ঠ লক্ষণ । কেহ তাহাকে ভিক্ষা দিল না ; সেও ভিক্ষার প্রতীক্ষা করিল না ; “শিকল কাটিয়াছে” সিদ্ধাস্ত করিয়া গৃহাভিমুখে চলিল। - পঞ্চম পরিচ্ছেদ | আর একটি সংবাদ সেই দিন মাধবাচার্য্যের পর্য্যটন সমাপ্ত হইল। তিনি নবীপ উপস্ট্রিদর্শি তথায় প্রিয় শিশু হেমচন্দ্রকে দর্শনদান করিয়া চরিতার্থ করিলেন। এবং আশীৰ্ব্বাদ,আলিঙ্গন, কুশলপ্রশ্নাদির পরে বিরলে উভয়ের উদ্দেশ্য সাধনের কথোপকথন করিতে লাগিলেন। আপন ভ্রমণবৃত্তাস্তু সবিস্তারে বিবৃত করিয়া মাধবাচার্য্য কহিলেন, “এত শ্রম করিয়া কতক দূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি। এতদ্দেশে অধীন রাজগণের মধ্যে অনেকেই রণক্ষেত্রে দলৈঙ্কে লেন রাজার সহায়তা করিতে স্বীকৃত হইয়াছেন। অচিরাং সকলে আসিয়া নবদ্বীপে সমবেত হুইবেন।” হেমচন্দ্র কছিলেন, “র্তাহারা অদ্যই এ স্থলে না আসিলে সকলই বিফল হইবে। যবনসন আসিয়াছে, মহাবনে অবস্থিতি করিতেছে। আজি কালি নগর আক্রমণ করিবে ।” মাধবাচার্ষ্য শুনিয়া শিহরিয়া উঠিলেন। কছিলেন, “গৌড়েশ্বরের পক্ষ হইতে के छेछय श्हेब्रान्ह ?” * > * , o -