পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$తీ वृक्षाणिनौ —সৰ্ব্বত্র হাসিতেছিল। প্রকৃতি স্পৰ্ম্মহীন, ধৈৰ্য্যময়ী। সেই ধৈর্য্যময়ী প্রকৃতির প্রাসাদমধ্যে, মৃণালিনী হেমচন্দ্র মুখে মুখে দাড়াইলেন। ভাষায় কি শব্দ ছিল না ? তাহাদিগের মনে কি বলিবার কথা ছিল না ? যদি মনে বলিবার কথা ছিল, ভাষায় শব্দ ছিল, তবে কেন ইহার কথা কহে না ? তখন চক্ষুর দেখাতেই মন উন্মত্ত—কথা কহিবে কি প্রকারে ? এ সময় কেবলমাত্র প্রণয়ীর নিকটে অবস্থিতিতে এত মুখ যে, হৃদয়মধ্যে অন্য মুখের স্থান থাকে না। যে সে মুখভোগ করিতে থাকে, সে আর কথার মুখ বাসনা করে না। সে সময়ে এত কথা বলিবার থাকে যে, কোন কথা আগে বলিব, তাহ কেহ স্থির করিতে পারে না। মমুন্যভাষায় এমন কোন শব্দ আছে যে, সে সময়ে প্রযুক্ত হইতে পারে? তাহারা পরস্পরের মুখ নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। হেমচন্দ্র মৃণালিনীর সেই প্রেমময় মুখ আবার দেখিলেন-হৃষীকেশবাক্যে প্রত্যয় দূর হইতে লাগিল। সে গ্রন্থের ছত্রে ছত্রে ত পবিত্রতা লেখা আছে। হেমচন্দ্র ৰ্তাহার লোচনপ্রতি চাহিয়৷ রছিলেন; সেই অপূৰ্ব্ব আয়তনশালী, ইন্টাবর-নিন্দী, অন্তকরণের দর্পণরূপ চকুপ্রতি চাহিয়া রহিলেন—তাহা হইতে কেবল প্রেমাঙ্ক বহিতেছে —সে চক্ষু যাহার, সে কি হেমচন্দ্র প্রথমে কথা কহিলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “মৃণালিনী! কেমন আছ?” মৃণালিনী উত্তর করিতে পারিলেন না। এখনও তাহার চিত্ত শাস্তু হয় নাই ; উত্তরের উপক্রম করিলেন, কিন্তু আবার চক্ষু জ্বলে ভাসিয়া গেল। কণ্ঠ রুদ্ধ হইল, কথা সরিল না। হেমচন্দ্র আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কেন জাসিয়াছ ?” মৃণালিনী তথাপি উত্তর করিতে পারিলেন না। হেমচন্দ্র তাহার ছন্ত ৰায়ণ করিয়া সোপানোপরি বসাইলেন, স্বয়ং নিকটে বসিলেন, মৃণালিনীর যে কিছু চিত্তের স্থিরতা ছিল, এই জারে তাহার লোপ হইল। ক্রমে ক্রমে উাহার মন্তক আপনি আসিয়া হেমচন্ত্রের স্কন্ধে স্থাপিত হইল, মৃণালিনী তাহ জানিয়াও জানিতে পারিলেন না। মৃণালিনী আবার রোদন করিলেন –ঙাহার অঞ্চলে হেমচত্রের স্কন্ধ, বক্ষ প্লাবিত হইল। BBBB BBBD DD DD DDD BBBBBBS BBB BB DDg BBB S তুল্য মহে। •