ম। “আমিই কেশবের কন্যা—জনার্দ্দন শর্ম্মা তাঁহার উপাধ্যায়।”
পশুপতি চিত্ত হারাইলেন; তাঁহার মস্তক ঘূরিতে লাগিল। তিনি বাঙ্নিষ্পত্তি না করিয়া প্রতিমাসমীপে সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত করিলেন। পরে গাত্রোত্থান করিয়া মনোরমাকে বক্ষে ধারণ করিতে গেলেন। মনোরমা পূর্ব্ববৎ সরিয়া দাঁড়াইলেন। কহিলেন,
“এখন নয়—আরও কথা আছে।”
প। “মনোরমে—রাক্ষসি! এতদিন কেন আমাকে এ অন্ধকারে রাখিয়াছিলে?”
ম। “কেন? তুমি কি আমার কথায় বিশ্বাস করিতে?”
প। “মনোরমে, তোমার কথায় কবে আমি অবিশ্বাস করিয়াছি? আর যদিই আমার অপ্রত্যয় জন্মিত, তবে আমি জনার্দ্দন শর্ম্মাকে জিজ্ঞাসা করিতে পারিতাম।”
ম। “জনার্দ্দন কি তাহা প্রকাশ করিতেন? তিনি শিষ্যের নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আছেন।”
প। “তবে তোমার কাছে প্রকাশ করিলেন কেন?”
ম। তিনি আমার নিকট প্রকাশ করেন নাই। একদিন গোপনে ব্রাহ্মণীর নিকট প্রকাশ করিতেছিলেন। আমি দৈবাৎ গোপনে থাকিয়া শুনিয়াছিলাম। আরও, আমি বিধবা বলিয়া পরিচিতা। তুমি আমার কথায় প্রত্যয় করিলে লোকে প্রত্যয় করিবে কেন? তুমি জনসমাজে নিন্দনীয় না হইয়া কি প্রকারে আমাকে গ্রহণ করিতে?”
প। “আমি সকল লোককে একত্রিত করিয়া তাহাদিগকে বুঝাইয়া বলিতাম।”
ম। “ভাল, তাহাই হউক—জ্যোতির্ব্বিদের গণনা?”
ড৩