পরিচিত হইলেন। বৎসরে এক বার করিয়া তথায় বাণিজ্য করিতে আসিতেন। যখন তিনি তথায় না থাকিতেন, তখন দিগ্বিজয় তথায় তাঁহার বাণিজ্যাগার রক্ষা করিত। দিগ্বিজয়ের প্রতি আদেশ ছিল যে যখন আমি যে রূপ আজ্ঞা করিব সে তখনই তদ্রুপ করিবে। সুতরাং আমি নিঃসহায় ছিলাম না।”
কথা সমাপ্ত হইলে গিরিজায়া বলিল “ঠাকুরাণি! আমি একটি বড় গুরুতর অপরাধ করিয়াছি। আমাকে মার্জ্জনা করিতে হইবে। আমি তাহার উপযুক্ত প্রায়শ্চিত্ত করিতে স্বীকৃত আছি।”
মৃ। “কি এমন গুরুতর কাজ করিলে?”
গি। “দিগ্বিজয় টা তোমার হিতকারী তাহা আমি জানিতাম না, আমি জানিতাম ওটা অতি অপদার্থ। এজন্য আমি প্রভাতে তাহাকে ভালরূপে ঘা কত ঝাঁটা দিয়াছি। তা ভাল করি নাই।”
মৃণালিনী হাসিয়া বলিলেন, “তা কি প্রায়শ্চিত্ত করিবে?”
গি। “ভিখারীর মেয়ের কি বিবাহ হয়?”
মৃ। (হাসিয়া) “করিলেই হয়।”
গি। “তবে আমি সে অপদার্থটাকে বিবাহ করিব। আর কি করি?”
মৃণালিনী আবার হাসিয়া বলিলেন “তবে আজি তোমার গায় হলুদ দিব।”