পাতা:মৃণ্ময়ী (কপালকুণ্ডলা দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৪ । মৃত্থায়ী।" বৃদ্ধ ভট্টাচাৰ্য কৌতুহল পরবশ হইয়। তখনই তাহাকে তাছা বলিতে অনুরোধ করিলেন। সকলেই তাছায় যোগ দিলেন। অধিকারী বলিতে আরম্ভ করিলেন,– ' “দাদা ! আপনার কন্যাকে আমি জীবিত পাইয়াছিলাম এবং লালন পালন করিয়া বিবাহ দিয়াছিলাম ; অদৃষ্টদোষে সকলই মদ ছইল । নবকুমার ! এই র্যাহাকে দেখিতেছ, ইনি কপালকুণ্ডলার পিত), আমি উইণর খুল্লতাত পুত্র। সুতরাং আমরা উভয়েই তোমার শ্বশুর। (নবকুমার ও ভট্টাচাৰ্য্য ছডবুদ্ধির স্থায় সমস্ত কথা শুনিতে লাগিলেন । ) আমার সহিত তোমার এত নিকট সম্পর্ক তাহা এত দিন ব্যক্ত করি নাই, তাহার অনেক কারণ ছিল । সমস্ত শুনিলে বুঝিতে পারিবে । দাদার যশন প্রথম কন্যা হয় তখন আমি বাট ছিলাম। সেই বস্তার নাম পূর্ণকেশী । তাহার যখন দুই বৎসর বয়স তখন আমি পলাশী ভ্যাগ করিয়া হিজলী আসি । ছিজলীর ভবানী চরণে কিছু দিন পূৰ্ব্ব হইতে আমি আশ্রয় লইয়াছিলাম । আমি ইহা কাহাকেও বলি নাই । • আমি হিজলীর ভবানীর সেবা করি এবং ভর্থায় থাকি, এমন সময় একদিন সেই জটাজুটধারী কাপালিক একটা বালিকার হত্ত ধরিয়া আমার নিকট লইয়া আসিলেন। জামি সবিস্ময়ে দেখিলাম সে : বালিকা অন্য কেহ না, আমারই ভ্রাতপুত্র। কাপালিক কছিলেন, ‘আমি ইছাকে সমুদ্র তীরে পন্ডিয়া পাইয়াছি । তুমি ইহাকে ধত্ব করিয়া রাখ। ইহা দ্বারা পরিণাষে জামার বিস্তর কার্ব্য সিদ্ধ হইবে। আমি কখন কোথায় থাকি, কি করি, স্থির মা, বিশেষতঃ লংগানীয় ভায় সন্তান লালন পালন কণ্ঠে জাৰি নিতান্ত অশক্ত। এজধ্য বলিতেছি, এ ৰালিক্ষ তোমার নিকট থাকুক। ছুৰি ইৰাণ্ডে কি বল ? :