পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

եյն প্রিয়সমাগম সস্তুষ্ট। এ হেন নগরে—কেবল একটা মাত্র ভবন, নিরাননী নিরুৎসাহ, হতপ্রভ। সেটা যক্ষের নিজের বাড়ী। যখন যক্ষের শুভদৃষ্ট ছিল—তখন এই হতবিভব নগরীরই অতুলনীয় মুখসমৃদ্ধি— সৌন্দৰ্য্যদীপ্তি—অলকায় আর সকল ভবনের কাহারও অপেক্ষা কম ছিল মা। কবি অতি অল্প কথায় কুবেরের সেই পোড়া অভিশাপ আপতিত হইবার পূৰ্ব্বে যক্ষ-ভবনের যে সৌন্দর্ঘ্যের ছায়াপাত দুই একটা রেখা দ্বার করিয়া দিয়াছেন, বোধ করি তাহ অন্য কবির পক্ষে দুল্লভ। আঞ্জ এখন ? এখন ত সে শোভা নাই। সে যক্ষও নাই। এখন গৃহাভ্যস্তরে একটী বিষাদময়ী নারীপ্রতিম প্রিযুজন-স্মৃতির আগুনে অহরহ দগ্ধীভূত হইয়া, দীর্ঘশ্বাস ফেলিতেছেন ! হায় ! এখন সেই মুরজরবমুখরিত হাস্তকোলাহলদীপ্ত, সদা কিঙ্কিনীশিঙ্কিত—ভবনের কি এই সেই সমৃদ্ধি ? এখন ত সেই কোলাহলপূরিত সৌন্দৰ্য নাই! কিন্তু না থাকিলেও, কবি এই ভবনে যে নীরব বিষাদ সৌন্দর্যের স্বষ্টি করিয়াছেন, তাহা জগতে অতুলনীয়। উহা নীরবে—আপন মহিমায় আপনি উদ্ভাসিত। উহাতে পূৰ্ব্বকার সে মুরজধনি নাই বটে, নূপুনিনাদ নিস্তব্ধ, সন্দেহ নাই,—হাস্ত কোলাহল অন্তর্হিত সত্য –কিন্তু উহার গৃহাভ্যন্তরে যে বিষাদময়ী প্রতিমা—“মলিনবসনে বীণা নিক্ষেপকরতঃ প্রিয়তমের স্মৃতিগাথা গাহিবার উদূযোগ করিতেছে আর চক্ষুর জলে গলিয়া যাইতেছে”—এই বিষাদময়ী সৌন্দর্য্যের ছবি পাঠক আর কোথাও দেখিয়াছ কি ? দুঃখের যে এমন মধুরতা, বিষাদের যে এমন কমনীয় আকর্ষণশক্তি-বিরহের এই যে হৃদয়মথনকারী সৌন্দৰ্য্য,—ইঙ্গর তুলনা কোথায় ? কবি অতি অল্পকথায়, এই নীরব দুঃসহ বিষাদময় দৌন্দর্ঘ্যের অসাধারণচিত্র সহৃদয়ের সম্মুখে উপস্থাপিত করিয়াছেন। ফলতঃ সৰ্ব্বাবস্থায়ভীষণে বীভৎসে, আনন্দে নিরানন্দে, উৎসাহের সৌরকিরণে ও বিষাদের