পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/w তামস-ঝটিকার মধ্যে—এরূপ মহামহিমময়ী সৌন্দৰ্য্যচ্ছবি আমরা আর কোন ভারতীয় কবির তুলিকায় অঙ্কিত দেখিতে পাই না। কালিদাসের অন্ত সকল কাব্য অপেক্ষ এই মেঘদূত কাব্যে সেই সৌন্দৰ্য্য অতিশয় ঘনীভূত হইয়াছে এবং ঘনীভূত হইয়—সেই অকৃত্রিম প্রেমাম্পদ যক্ষপত্নীর বিষাদপূর্ণ প্রতিমায় পর্য্যবসিত হইয়া রহিয়াছে, পরাকাষ্ঠ প্রাপ্ত হইয়াছে ! * মনুষ্য হৃদয়ের সৌন্দর্য্য, মাধুর্ঘ্য কোথায় ? প্রেমে। পণ্ডিতের দর্শনশাস্ত্র আলোড়ন করিয়া যাহাই কেন বলুন না, প্রেমের মত পবিত্র, মধুর ও সুন্দর আর কোথাও কিছু নাই। স্বর্গে, মৰ্ত্ত্যে ও পাতালে প্রেম সৰ্ব্বত্র সৰ্ব্বদা সমান মুন্দর। এই প্রেমের মধুময় সৌন্দৰ্য্য মেঘদূতের সর্বত্র অভিব্যক্ত,-অতি সুন্দরন্ধপে প্রতিফলিত। মেঘদূত প্রেমের কাব্য। এই প্রেমের কাব্যে সমস্তই প্রেমময়। ধঙ্ক ও যক্ষ-পত্নীর ত কথাই নাই, তাহারা ত প্রেমের অবতার। এই অসাধারণ প্রেমকাব্যের প্রথম হইতে একে একে দেখিয়া যাও, ইছার প্রত্যেক পদার্থট প্রেমে আকুল, গ্রেমে বিহ্বল, প্রেমে উন্মত্ত,—প্রেমময়। যক্ষ ও যক্ষপত্নীর অগাধ অপরিমেয় অনন্ত প্রেম উচ্ছসিত হইয়া জগৎসংসারটাকে যেন প্রেমপ্লাবিত করিয়াদিয়াছে! মেঘ, গিরি, নদী, এমন কি ক্ষুদ্র বলাকাটা পৰ্য্যন্ত প্রেমে তন্ময়। প্রেমহীন একটা জীব, একটা দৃশু, একটা স্বষ্টি, একটা বিষয় মেঘদূতে পাইবার যে নাই। প্রেমের যাহা ধৰ্ম্ম, তাহ প্রত্যেক পদার্থে দেখিতে পাইবে । প্রেমে মেঘ উন্মত্ত, পৰ্ব্বত রোমাঞ্চিত, হংসাবলী আহলাদিত ; নদীগুলির ত কথাই নাই, তাহারা প্রেমে একেবারে পাগলিনী। প্রেমের সহিত মানুষের বড় ঘনিষ্টসম্বন্ধ-বড় সহানুভূতি। প্রেমের দৃপ্ত, প্রেমের সৌন্দৰ্য্য মানুষের বড় প্রিয়, প্রেম-সৌন্দর্য্যের এরূপ মধুর অথচ বিরাট অভিব্যক্তি,এমন সরল সুন্দর অথচ বিশ্বব্যাপক বিকাশ