পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/ووا জগতের আর কোন কাব্যে আছে কি না জানি না। ইহাতে প্রেমের এইরূপ বিকাশ বলিয়াই এই কাব্য আমাদের—শুধু আমাদের কেন ? সমস্ত জগতের—এত প্রিয়। মেঘদূতের জন্মবিবরণ কি ? কোন কোন টীকাকারদিগের মতে কাব্য-বর্ণিত, কাব্যের নায়ক যক্ষ, যক্ষরাজ কুবেরের পুষ্পচয়নকারী ভৃত্য ছিল; একদিন সে পুষ্পচয়ন করিতে অবহেলা করায় কুবের তাহাকে অভিশাপ দেন। কেহ বা বলেন, যক্ষ কুবেরের উদ্যানপাল ছিল, এক দিন সে অনবধানতাবশতঃ উদ্যান-দ্বার উদঘাটিত করিয়া স্থানান্তরে গমন করিলে, দেবরাজ ইন্দ্রের ঐরাবত হস্তী ঐ উদ্যানে প্রবেশ করিয়া উদ্যানস্থ সমস্ত তরু লতা বিনষ্ট করিয়া উদ্যানটকে একেবারে শ্ৰীহীন করিয়া দেয়। যক্ষরাজ তজ্জন্তই ক্রুদ্ধ হইয়া যক্ষকে শাপ প্রদান করেন। কোন টকাকার আবার বলেন এই যক্ষ কুবেরের এক সরোবরের রক্ষক ছিল। সহস্র সহস্ৰ সুবর্ণকমল সৰ্ব্বদাই ঐ সরোবরের জল আচ্ছন্ন করিয়া রাখিত। ঐ স্বর্ণকমলে যক্ষরাজ শিবপূজা করিতেন। একদিন যক্ষ প্রিয়াসমাগমমুখে বিমোহিত হইয়া নিজ কৰ্ত্তব্যে অবহেলা করিয়াছিল, এতদবসরে দেবরাজ ইন্দ্রের ঐরাবত নাম হস্তী ঐ সরোবরে প্রবেশপূর্বক সমস্ত কমলদল উৎপাটন করিয়া সরোবরকে একেবারে কমলশূন্ত করে। কুবের এই হতশ্ৰী সরোবর দর্শনে ক্ষুব্ধ হইয়া যক্ষকে ঘোরতর অভিশাপ দেন । যক্ষ ঐ শাপবশে এক বৎসরের জন্ত অলকা হইতে নিৰ্ব্বাসিত হইয়। রামগিরিতে প্রেরিত হয়। তথায় সে অতি কষ্ট আট মাস বাস করিয়া প্রিয়তমার আদর্শন-দুঃখে উন্মত্তপ্রায় হয়। পরিশেষে আষাঢ়ের প্রথম দিবসে নভোমণ্ডলে অভিনব মেঘের আবির্ভাব দর্শনে বাহঞ্জান শূন্ত হইল, আপন প্রিয়ার নিকট সংবাদ লইয়া যাইবার নিমিত্ত মেঘকে সচেতন বোধে সম্বোধন করিয়া তৎসমীপে দৌত্যডারগ্রহণ প্রার্থন জানাইল এবং রাম