পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

νηο/ο গিরি হইতে জtধন আলয় পর্যন্ত পথ নির্দেশ করিয়া দিতে আরম্ভ করিল। এই মেঘদূত দুই ভাগে বিভক্ত ; পূৰ্ব্বমেঘ ও উত্তর মেঘ । পূর্বমেঘে যক্ষ মেঘকে অস্কার পথ নির্দেশ করিয়া দিতেছে। মেঘ যক্ষের প্রিয়ার নিকট সংবাদ লইয়। যাইবে ; রামগিরি হইতে অলকায় ঘাইতে হইলে কোন কোন পথ দিয়া যাইতে হইবে, পথে কোন কোন গিরি, নদী, জনপদ, নগর, দেবালয়, রাজধানী অতিক্রম করিতে হইবে, যক্ষ সমস্তই মেঘকে বলিয়া দিতেছে। আর্য্যাবর্তের প্রায় সমুদায়" প্রধান প্রধান তীর্থধি দ্রষ্টব্য স্থান দেখিয় যাইবার জন্ত যক্ষ মেঘকে অনুরোধ করিতেছে। রামগিরি ছুইতে অলকা যাইতে হইলে ঠিক সোজা উত্তর মুখে যাইলে পথ সহজ ও হ্রস্বতর হইত। যক্ষ কিন্তু মেঘক বাকী ও দীর্ঘ পথ দিয়া, ঘুরিয়া বাইতে বলিয়াছে। ইহার দুইটা কারণ আছে। প্রথমটী এই যে, কবি উজ্জয়িনীতে দীর্ঘকাল বাস করিয়াছিলেন, উজ্জয়িনী তাৎকালিক ভারতের রাজধানী ছিল ; কবি তাই সমৃদ্ধ শোভা সম্পত্তির আধার প্লিয় উজ্জয়িনীর বর্ণনার লোভ সম্বরণ করিতে পারেন নাই ; দ্বিতীয়তঃ, রামগিরি হইতে ঠিক সোজা উত্তরমুখে গেলে প্রয়াগ ও অযোধ্য দিয়া যাইতে হইত। কবি রঘুবংশ-কাব্যে রাম সীতার পুস্পকারোহণে অযোধ্য প্রত্যাগমন বর্ণনা উপলক্ষে ( ১৩শ সর্গ ) এই সমস্ত স্থান যথাযথ সুন্দরভাবে দুর্থনা করিয়াছেন ; পুনশ্চ এই কাব্যে ঐ সকল স্থানের বর্ণন করিলে পুনরুক্তি দোষস্থাত হইত সন্দেহ নাই। এই কারণেই কবি মেঘকে একটু বাক পথ দেখাইয়া নুতন বর্ণনীয় দেশের আবিষ্কার করিয় লইয়াছেন। পণ্ডিতদিগের মধ্যে প্রবাদ আছে যে কবি এই মেঘদূত রচনা করিয় প্রথমে এক মালনীকে শুনাইছিলেন। পূৰ্ব্বমেঘ শুনিতে শুনিতে মালিনী বিরক্ত হইয়া উঠি যাইতে চাহে। তাহাড়ে কৰি তাহা