পাতা:মেঘদূত-কালিদাস-অখিলচন্দ্র পালিত.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>x পরিহাস করিয়া বলেন “তুমি স্বর্গে যাইতে পরিবে না; কারণ স্বর্গে যাইতে হইলে ১০ সিড়ি ভাঙ্গিতে হয়। উত্তরমেঘ স্বর্গ এবং পূৰ্ব্বমেঘ উহার সিড়ি।” এই কথায় মালিনী ব্যাপী স্থ কাব্যখনি শুনিয়া অতিশয় প্রীতি প্রকাশ করে। কৰি মালিনীর সমালোচনায় সাহস পাইয়া কাব্যখনি সাধারণ্যে প্রকাশ করেন ; এই উপকথার উপর নির্ভর করিয়া অনেকেই পূৰ্ব্বমেঘের উপর অশ্রদ্ধা করিয়া মনোযোগ সহকারে উহা পাঠ করেন না। সিড়ির গল্প যে ভান্তই অশ্রদ্ধেয় তাহ ধিনি ইহা মনোযোগ দিয়া গাঠ করবেন তিনিই বুলিতে পারবেন। পূৰ্ব্বমেঘ জড় ও চিন্ময় সৌন্দর্য্যের সুন্দর মিশ্রণের অতি অদ্ভূত ফুল । উত্তরমেঘে যক্ষ অলক, নিজের আশ্বাসঘাটী, প্রিয়তমার বিরহাবস্থা, নিজের সংবাদ মেঘকে বলি, তছে। কবি তাহার অমানুষী প্রতিভাবলে এই সামান্ত একটা বিরহের আখ্যান অবলম্বল করিয়া এতাদৃশ চমৎকার অতুলনীয় কাব্যরত্ন রচনা কমিয়াছেন। কাব্যের শ্রেণীবিভাগ অনুসারে এই কাব্যকে খণ্ডকাব্য বলা যায় ; কিন্তু খণ্ডকাব্যের মধ্যে এরূপ কাৰ্য ভারতীয় ভাষায় আর দ্বিতীয় নাই, জগতে আছে কিনা সনেই। ইংরাজা লক্ষণাত্মদারে উত্তরমেঘ অতি ইংল্পষ্ট লিরিক ( Lyric) বলয়া গৃহীত হইতে পারে। সুপ্রতিষ্ঠ টীকাকার মল্লিনাথ বলেন, রামচন্দ্র নিজ প্রেয়সী সীতার নিকট পবননন্দন হনুমানকে দূত-প্রেরণ করছিলেন, কবি কালিদাস সেই সূত্র অবলম্বন করিয়া এই কাব্য প্রণয়ন করিয়াছেন । কেহ কেহ বলেন মহাকবি ঘটকপর্ক্স-রচিত যমক কাব্যই এই কাব্যের উপাদানস্বরূপ ব্যবহৃত হয়েছে। আমাদের কিন্তু মনে হয়, কবি কোন পৌরাণিক, ঐতিহাসিক অথবা লৌকিক আখ্যানে নিকট অর্থধা অন্ত কোন কবির ঋবিশেষের নিকট ঋণা নহেন। এরূপ অসামান্ত কাব্য কখনও অন্ত্র