আষাঢ়-শ্রাবণ মাস এইরূপে যায়।
পূবেতে গর্জিয়া দেওয়া পশ্চিমেতে ভায়[১]॥
ভাদ্র-আশ্বিন মাস আসে এই মতে।
দিন রাইত নদীয়ার ঠাকুর খুঁজে নানান মতে॥
বাড়ীতে দুর্গার পূজা কান্দে বাপ মায়।
খালি মণ্ডপ রইলরে পইড়া নদীয়ার ঠাকুরের দায়[২]
মাও রইল বাপ রইল রইলরে সোদর ভাই।
মেঘে ভিজ্যা রইদেরে পুইড়া রজনী পোয়াই॥[৩]
কার্ত্তিক মাসে কার্ত্তিক বরত[৪] পুত্রের লাগিয়া।
আক্ষি ঘোর[৫] হইল মায়ের কান্দিয়া কান্দিয়া॥
আগুণ[৬] মাসে অল্প শীত কংসাই নদীর পাড়ি[৭]।
নাগাল পাইল নদীয়ার চান্ মহুয়া সুন্দরী॥
সাপে যেমন পাইল মণি পিয়াসী পাইল জল।
পদ্মফুলের মধু খাইতে ভমরা পাগল॥ ১—৪৫
(১৪)
নূতন অতিথি
সন্ধ্যাবেলা অতিথ আইল ভিন্ন দেশে বাড়ী।
কলসী লইয়া জলে যায় মহুয়া সুন্দরী॥
ভাবিয়া চিন্তিয়া কন্যার যৌবন হইল কালী।
দলের যত বাইদ্যা লোক করে বলাবলি॥
“নিদ্রা নাই সে যায় কন্যা না ছুঁয়ে ভাতপানী
মাথার বিষেতে কন্যা হইল পাগলিনী॥