বীয়াতের স্মৃতিকথা লিখিত হইয়াছে, খুব সম্ভব গুল্বদনের উল্লিখিত আদেশ-প্রচারের কথা তাহারই পুনরুক্তি মাত্র। যদি তাহাই হয়, তাহা হইলে দেখা যাইতেছে, ‘হুমাযুন্-নামা’ ন্যূনাধিক ১৫৮৭ খ্রীষ্টাব্দে (৯৯৫ হিজরা) লিখিত হয়। আবুল্-ফজল্ ‘হুমায়ুন-নামা’ সম্বন্ধে নির্ব্বাক, তবে তিনি যে ‘আকবর-নামা’ রচনাকালে বেগমের পুস্তকের সাহায্য লইয়াছিলেন, সে-সম্বন্ধে প্রমাণ দেওয়া যাইতে পারে।[১]
হুমায়ুন্-নামার প্রথমাংশে বাবরের কথা। ইহার অধিকাংশই বাবরের আত্মজীবনচরিত-অবলম্বনে লিখিত; কারণ পিতার মৃত্যুকালে গুলবদনের বয়ঃক্রম মাত্র ৮ বৎসর; সুতরাং তাঁহার নিকট হইতে বাবরের রাজত্বকালের চাক্ষুষ বিবরণ জানিবার আশা করা যায় না। দুঃখের বিষয়, ব্রিটিশ মিউজিয়মের এই পুঁথিখানি অসম্পূর্ণ—শেষের কয়েক পৃষ্ঠা হারাইয়া গিয়াছে, হুমায়ুনের দ্বিতীয় বার ভারত-বিজয়ের পূর্ব্বাবধি ইতিহাস এই খণ্ডিত পুস্তকের শেষ সীমা। হুমায়ুন-নামা রচনা করিয়া গুল্বদন্ ইতিহাসের প্রভূত উপকারসাধন করিয়াছেন। ইহা প্রকাশিত না হইলে বোধ হয় বাবরের পুত্রকন্যা, আত্মীয়স্বজনবর্গ ও তৎকালীন
- ↑ Humayunnama, p.78n. দ্রষ্টব্য