মহিলার মধ্যস্থতা ব্যতীত এই বিদ্রোহানল যে কিরূপে নির্ব্বাণপ্রাপ্ত হইত, তাহা কে বলিতে পারে?
বিদুষী সলীমার অধ্যয়ন-স্পৃহা যেমন বলবতী, তাঁহার অধীত পুস্তকের সংখ্যা ও বৈচিত্র্য তেমনই বিশাল। বদায়ুনী বলেন (Lowe, ii, 389, 186) সলীমা ‘বত্রিশ সিংহাসন’ পুস্তক অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। বদায়ুনী স্বয়ং গদ্য ও পদ্যে পারস্য-ভাষায় এই পুস্তক অনুবাদ করিয়া নামকরণ করিয়াছিলেন ‘খিবদ্-আফ্জা’। কবিতা-রচনাতেও সলীমার বিপুল প্রতিভা ছিল। ‘মখ্ ফী’ (গুপ্ত ব্যক্তি) এই ছদ্মনাম দিয়া তিনি বহু ফার্সী কবিতা রচনা করিয়াছিলেন। সলীমার নিম্নলিখিত বয়েৎটি তৎকালে বিশেষ প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিল বলিয়া খাফি খাঁর গ্রন্থে উদ্ধৃত আছে:—
“কাকুলৎ রা মন্ জে মস্তী রিষ্ তা-ই-জান্ গোফ্তা আম্।
মস্ত্ বুদম্জীঁ সবর্ হর্ফ-ই পরেশান্ গোফ্তা আম্।”[১]
—মোহবশে তোমার চাঁচর কেশকে ‘জীবন-সূত্র’ বলিয়াছি, ইহা উন্মত্ত প্রলাপ।
- ↑ Khafi Khan, i. 276; see also Masir-ul-Umara, VoI. I. Eng. Trans., p. 371.