পাতা:মোগল যুগে স্ত্রীশিক্ষা.djvu/২২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মোগল যুগে স্ত্রীশিক্ষা

 বিদ্যাবুদ্ধি, প্রতিভা এবং অপরূপ রূপলাবণ্যপ্রভায় যে জহাঙ্গীরের
রাজত্বকাল
সীমন্তিনী মোগল রাজত্বের মধ্যাহ্ন-যুগ আলোকিত করিয়াছিলেন, তাঁহার নাম জগজ্জ্যোতিঃ নূরজহান্ — চতুর্থ মোগল-সম্রাট্ জহাঙ্গীরের জীবনস্বপ্ন। মানব-জীবনে সময়ে-সময়ে কি অভাবনীয় পরিবর্ত্তনই না সাধিত হয়! অতি হীন অবস্থা হইতে ক্ষমতা ও ঐশ্বর্য্যের অত্যুচ্চ শিখরে অধিরূঢ় হইবার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল নহে; কিন্তু দৈন্যের প্রকটমূর্ত্তি মরুভবন হইতে ভারতের শ্রেষ্ঠ সিংহাসন অতি দীর্ঘ পদক্ষেপ! আমরা যাঁঁহার প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়াছি, তিনি মরুভূমির সন্তান—মরুর মতই চিরপিপাসাতুরা; ইঁহার উচ্চ আকাঙ্ক্ষার সীমা ছিল না। নূরজহানের প্রকৃত নাম— মিহ্‌র-উন্নিসা। জহাঙ্গীর যখন কুমার সলীম্‌, সেই সময় তিনি কিশোরী মিহ্‌রের মোহে মুগ্ধ হইয়াছিলেন। সম্রাট্ আক্‌বর সে রূপমোহ ছিন্ন করিবার জন্য শের আফ্‌কনের সহিত বিবাহ দিয়া মিহ্‌রকে যুবরাজের দৃষ্টিপথ হইতে অপসারিত করিলেন। কিন্তু চতুর-চূড়ামণি, ভারতের অদ্বিতীয় কূটনীতিজ্ঞ সম্রাট্ও এই কুহকিনী কিশোরীর দুশ্ছেদ্য মোহপাশ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারেন নাই। সলীমের কিশোর-স্বপ্ন ছুটিল না। ভুবনবিজয়ী ‘জহাঙ্গীর’ নাম লইয়া সলীম পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করিলেন; কিন্তু নিজহৃদয় জয় করিতে পারিলেন না। মিহ্‌র—মিহ্‌র—এখনও