পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া

তাহার পত্র সকল সেই সেই স্থানেই পচিতেছে, সুতরাং তাহাই আবার অস্বাস্থ্যের কারণ হইতেছে। বন ও লতা সকল যদি উৎপাটিত করত অগ্নি দ্বারা দগ্ধ করাইত তাহা হইলে বর্ষাকালে কর্তিত মূল হইতে পুনর্ব্বার বৃক্ষ লতা উৎপন্ন হইত না ও পাতা পচিতে পাইত না। যে দেশে তাপ ও ভূমির আর্দ্রতা অধিক তথায় উদ্ভিদের উৎপত্তি ও বিনাশও অধিক। প্রথম মতাবলম্বীদিগের এই ধ্রুব বিশ্বাস যে, বঙ্গদেশের ম্যালেরিয়ার কারণ বিষয়ে তাঁহারা যাহা নির্দ্দেশ করেন তাহা ভিন্ন আর কিছুই হইতে পারে না, কিন্তু যদিও ম্যালেরিয়াক্রান্ত বঙ্গদেশে বৃক্ষলতাদি পচিতে দেখা যায়, এজন্য উহাই যে জ্বরের কারণ এমত নহে। নিম্নে কয়টী দৃষ্টান্ত প্রদর্শিত হইতেছে যদ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে যে, উদ্ভিদ্ বিনাশের সহিত ম্যালেরিয়ার জ্বরের বিশেষ কোন সম্বন্ধ নাই। সুলতানগাছা ও তপনপুর, মেড়িয়া, খেঁই শোনাটিক‍্রি, মনিপুর প্রভৃতি কতকগুলি গ্রামের ভূমি বালুকাময়, কেবল সামান্য অংশ কর্দ্দমবিশিষ্ট, এপ্রযুক্ত উদ্ভিদের উৎপত্তি ও বিনাশ অতি সামান্য। তপনপুর, প্রশস্ত ধান্য ভূমির মধ্যবর্ত্তী এবং ইহার ভূমি প্রায় সম্পূর্ণ বালুকাময়। ১৮৭১ খৃঃ অব্দ পর্যন্ত শেষোক্ত স্থানে ধান্য ভিন্ন অন্য কোন প্রকার বৃক্ষ লতা দেখিতে পাওয়া যাইত না, তথাপি ঐ বৎসর উল্লিখিত সমস্ত গ্রামের কোন গৃহই জ্বর শূন্য ছিল না। মনিপুর হইতে