পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
ম্যালেরিয়া।

পর্য্যায় জ্বর নিবারণে সমর্থ হয় না। বেঙ্গল ফারমেকোপিয়াতে নারকটিন্ প্রস্তুত করিবার যে প্রণালী তিনি প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহা অবলম্বন করিলে নিশ্চয়ই ইহা সবিরাম জ্বরের একটী মহৌষধ। ১৮৫৮ খৃঃঅব্দে ডাক্তার জে ব্যালফোর রোহিলখন্দ, রেঙ্গন এবং দিল্লী জ্বর নিবারণ করিবার জন্য প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করিয়া ইহার ফলোপধায়ীতার বিষয়ে বিশেষ সুখ্যাতি করিয়াছেন। তিনি অধিক মাত্রায় ইহা ব্যবহার করিতেন। জ্বরের ঘর্ম্মাবস্থায় এক মাত্রায় ২০ গ্রেন্ প্রয়োগ করিতেন এবং জ্বর আসিবার পূর্ব্বে ঐ পরিমাণে আর একমাত্রা সেবন করিতে দিতেন। দ্ব্যহিক জ্বরের বিরামাবস্থায় তিনি তিন মাত্রা প্রয়োগ করিতেন। শেষের সেবনীয় মাত্রা এরূপে দেওয়া হইত যে ইহা জ্বরের পুনরাগমনের দুই কিম্বা তিন ঘণ্টা পূর্ব্বে পড়িত। ডাক্তার ব্যালফোর বলেন অধিক মাত্রায় কুইনাইন্ সেবন করিলে শরীর যে প্রকার গ্লাণিযুক্ত হয় নারকটিন্ তদ্রুপ মাত্রায় সেবন করিলে তাহা হয় না। কিন্তু কখন কখন এক প্রকার অবসাদ, আবল্য এবং দৈহিক অশাড়তা উপস্থিত হইতে দেখা যায়। ইহা ক্ষণিক এবং অনতি বিলম্বেই অপসারিত হয়। অধিক মাত্রায় সেবন করিলে কখন কখন বমন হয়।

 সম্প্রতি ডাক্তার এগারডেন ইহার জ্বরঘ্ন শক্তির বিশিষ্ট প্রমাণ দর্শাইয়াছেন। ১৮৫৯।৬০ খৃঃঅব্দে গাজি-