পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয়েt২ধ্যায়ঃ । এভিঃ সম্পাদিতং ভুঙক্তে পুরুষঃ পঞ্চবিংশকঃ ঈশ্বরেচ্ছাবশঃ সোহপি জীবাস্ত কথ্যতে বুধৈঃ ! এবং ষড়বিংশকং প্রোক্তং শরীর ইহ মানবে | সাংখ্যং সংখ্যাত্মকত্ত্বাচ্চ কপিলাদিভিরুচ্যতে । এতত্তত্বাত্মকং কুত্ব জগন্ধে পা স্মজীজনৎ ॥ ২১

  • সাবিত্ৰীং লোকস্থষ্ট্যৰ্থং হৃদি কুত্ব সমস্থিতঃ ।

তত: সঞ্জপতস্তস্ত ভিৰ দেহুমকল্মষমৃ ॥ ৩• স্ত্রীরূপমদ্ধমকরোদপ্তং পুরুষরূপবৎ । শতরূপ চ সা খ্যাত সাবিত্ৰী চ নিগদ্যতে ॥ সরস্বভ্যর্থ গায়ত্রী ব্রহ্মীণী চ পর্যন্তপ । ততঃ স্বদেহদস্তৃতামাত্মজামিত্যকল্পয়ৎ ॥ ৩২ দৃষ্ট্র তাং ব্যথিতস্তাবৎ কামবাণাদিতে বিভুঃ অহে রূপমহে রূপমিতি চাহ প্রজাপতি ॥৩৩ ততো বসিষ্ঠপ্রমুখ ভগিনীমিতি চুক্ৰুশুঃ । ব্ৰহ্ম ন কিঞ্চিদদৃশে তন্মুখালোকনাদৃতে ॥ ৩৪ পঞ্চবিংশক পুরুষ এই সকল দ্বারা সম্পাদিত মুখ-হঃখ ভোগ করিয়া থাকেন। ঐ পুরুষ ও ঈশ্বরেচ্ছার বশীভুত হইয়া জীবাত্ম নামে নিরূপিত। এইরূপে এই মানবশরীরে ষড়বিংশতত্ত্ব নির্দিষ্ট । কপিলাদি মহুষিগণ সংখ্যাত্মকত্ব হেতু সাংখ্য বলিয়া থাকেন । বিধাতা লোকস্থষ্টির নিমিত্ত সাবিত্রীকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া এই জগৎকে এই সকল তত্ত্বাত্মক করিয়া দ্বিবিধক্কপে উৎপাদন করেন। তিনি জপে নিরত আছেন, এমন সময় তদীয় পবিত্র দেহ ভেদ করিয়া অৰ্দ্ধ স্ত্রীরূপ ও অৰ্দ্ধ | পুরুষরূপ প্রান্তর্ভুত হইল । স্ত্রীরূপাদ্ধ শতরূপা নামে বিখ্যাত হইলেন । হে পরস্তপ | এই শতরূপাই সাবিত্ৰী, গায়ত্রী, সরস্বতী ও ব্রহ্মাণী নামে প্রসিদ্ধ। ব্ৰহ্মা তাহাকে— স্বদেহ-সভূত নারীকে ‘আত্মজ’ রূপে কল্পনা করিলেন। অনস্তর বিভু প্রজাপতি র্তাহাকে দেখিয়া পীড়িত ও কামশরে জর্জরিত হুইয়া বলিলেন, আহে “কি রূপ r কি অপূৰ্ব্ব রূপ r তখন বশিষ্ঠ প্রমুখ মহৰ্ষিরা তাহাকে ভগিনী বলিয়া সম্বোধন করিতে লাগিলেন । কিন্তু ব্ৰহ্মা তাহার মুখপঙ্কজ ব্যতীত আর কিছুই আহে রূপমকে রূপমিতি প্রাহ পুনঃপুনঃ । ততঃ প্ৰণামনম্রiং তাং পুনরেবাভ্যলোকয়ৎ ॥ অর্থ প্রদক্ষিণং চক্রে স৷ পিতুৰ্বরবর্ণিনী । পুত্রেভেদ লজ্জিতস্তাস্ত তন্দ্ৰপালোকনেচ্ছয়। আবির্ভূতং ততো বক্ৰং দক্ষিণং পাণ্ডুগগুৰৎ । বিস্ময়ক্ষুরদোষ্ঠঞ্চ পাশ্চাত্যমুদগাং তত: ॥৩৭ চতুর্থমভবৎ পশ্চাদ্ধামং কমিশরাতুরম্। ততোহস্তদভবৎ তস্য কামাতুব্রতয়া তথা ॥৩৮ উৎপতন্ত্যাস্তদাকার আলোকনকুতুহলাৎ। স্বই্যর্থং যং কঙ্কং তেন তপঃ পরমদারুপম ৷ তৎ সৰ্ব্বং নাশমগমৎ স্বস্বতোপগমেচ্ছয়া । তেনোৰ্দ্ধং বক্রমভবৎ পঞ্চমং তস্ত ধীমতঃ । আবির্ভবজটভিশ্চ তদ্বব্ৰঞ্চীৰূণেtৎ প্ৰভুঃ ॥ ততস্তানব্ৰবীদন্ত্রক্ষা পুত্রানত্মসমুদ্ভবান । প্রজীঃ স্বজধ্বমভিভঃ সদেবাসুর-মাজুষীঃ ॥ দেখিতে পাইলেন না । তিনি বারস্বীয় অহো রূপ ! আহে রূপ " এই কথাই বলিতে লাগিলেন । অনন্তর সেই প্ৰণাম-নমা কস্তাকে পুনরায় অবলোকন করিলেন । সেই বরবর্ণিনী র্তাহীকে প্রণাম করিয়া প্রদক্ষিণ করিল। তাহার রূপ দেখিবার জন্ত ব্ৰহ্মার একান্তই ইচ্ছা ; কিন্তু তাহীতে তিনি পুত্রদিগের নিকট বিশেষরূপে লজ্জিত ; কাজেই তাহার দক্ষিণদিকে এক পাণ্ডুবৰ্ণ গণ্ডস্থলযুত বদন বিকাশ পাইল, অনন্তর বিস্ময়ে বিস্কুরিতাধর হইয়া র্তাহার পশ্চিমদিকে অস্ত এক বদন বিনিগত হইল। তৎপরে তঁহার কামাতুর চতুর্থ মুখ প্রকটিত হইয়া পড়িল । তদীয় কামাতুরতা হেতু আরও এক মুখ প্রকাশিত হইল । এই মুখ সেই উৰ্দ্ধোখিত অঙ্গনাকে অবলোকন করিবার কুতুহুল বশতই নিৰ্গত হুইল । ব্রহ্ম স্বষ্টিকাৰ্য্য সম্পন্ন করিবার জন্ত দারুণ তপোন্থঠান করিয়াছিলেন ; কিন্তু নিজের কম্ভা-সঙ্গমেচ্ছায় তাহার তাহা নষ্ট হুইয়া গেল। তাহার উর্বদিকে যে পঞ্চম বক্র বিকাশ পাইয়াছিল, উহা জটাজালে জমাঞ্চজ হুইল। ২৭—৪ • । অনস্তর ব্ৰহ্মা