পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্টিতমোছধ্যায়ঃ । স্পন্ধায়tঞ্চ প্রবৃত্তীয়াং কমলাসন-কৃষ্ণয়োঃ । লিঙ্গাকার সমুদ্ভূত বহেজালাতিভীষণ । তয়াভিতপ্তস্য হরের্বক্ষসস্তদ্বিনিঃস্থতম্ ॥ ৪ বক্ষঃস্থলং সমশ্ৰিত্য বিষ্ণোঃ সৌভাগ্যমাস্থিতম রসরূপং ততো যাবৎ প্রাপ্নোতি বসুধাতলম্ ॥ উৎক্ষিপ্তমস্তরীক্ষে তদব্ৰহ্মপুত্রেণ ধীমতা। দক্ষেণ পীতমাত্রং তদ্রুপলাবণ্যকীরকম ॥ ৬ . বলং তেজে মহজাতং দক্ষস্ত পরমেষ্টিনঃ । শেষ যদপতভূমাবষ্টধা সমজীয়ত ॥ ৭ ততো জনানাং সঞ্জাতীঃ সপ্ত সৌভাগ্যদায়কাঃ ইক্ষবো রসরাজশ্চ নিপীবাজাজিধান্তকম ॥৮ বিকারবচ্চ গোক্ষীরং কুমুম্ভং কুঙ্কুমং তথা । লবণঞ্চtষ্টমং তদ্বৎ সৌভাগ্যtষ্টকমুচ্যতে ॥ ৯ পীতং যদব্ৰহ্মপুত্রেণ যোগজ্ঞানবিদা পুনঃ । নৃপ অনন্তর বহুকাল পরে পুনরায় স্বষ্টিকাৰ্য্য আরম্ভ হইলে জগৎ অহঙ্কারাবৃত ও প্রধান পুরুষে অস্বিত হইল। তখন কমলাসন ও কৃষ্ণ উভয়ে পরস্পর স্পৰ্দ্ধা করিতে প্রবৃত্ত হইলে বহ্নি হইতে এক ভীষণ লিঙ্গীকার জালা প্রহর্ভূত হইল। হরি সেই জালায় অভিতপ্ত হইলে তদীয় বক্ষঃস্থল হইতে সেই পুৰ্ব্বাশ্রিত সৌভাগ্য রসরূপে গলিত হইয়া ভূতলে পতিত হইল । উহ্য যখন পড়িয়া অন্তরীক্ষে উৎপতিত হয়, তখন ব্ৰহ্মপুত্র ধীমান দক্ষ উহাকে পান করেন । তিনি পান করিবামাত্র ঐ সৌভাগ্য র্তাহার রূপ ও লাবণ্যসাধক হয়। পরমেষ্ঠা দক্ষ সেই হইতে মহা বলশালী ও তেজস্বী হইয়৷ উঠেন। অবশিষ্ট রসাকীর সৌভাগ্য ভূতলে যাহা পতিত হইয়াছিল, তাহা অষ্টধা বিভক্ত হয়। তাহা হইতে জনগণের সাতটা সৌভাগ্যদায়ক বস্তু উৎপন্ন হয় ; যথা—রসরাজ ইক্ষু, নিপাব, অজাজি, ধান্ত, গোক্ষীর, বিকার, কুঙ্কুম ও কুসুম্ভ । অষ্টম সৌভাগ্য লবণ। এইরূপে সৌভাগ্যাক্টক কথিত হইয়া থাকে । যোগজ্ঞানবিং ব্ৰহ্মপুত্র দক্ষ Reసి কুহিত সাভবৎ তপ্ত যা সতীত্যভিধীয়তে ॥১০ লোকনৈতীত্য লালিত্যাক্সলিত। তেন চোচ্যতে ত্ৰৈলোক্যমুন্দরীমেনামুপযেমে পিনাকধুক ॥ ১১ যা দেবী সৌভাগ্যময়ী ভুক্তি-মুক্তিফগপ্রদ । তামারধ্যে পুমান ভক্ত্য নারী বা কিং ন বিন্দতি ॥ ১২ মন্থরুবাচ । কথমারাধনং তস্বত্য জগদ্ধাজ্য জনাৰ্দ্দনঃ ॥ তদ্বিধানং জগন্নাথ তৎ সৰ্ব্বঞ্চ বদম্ব মে ॥ ১৩ মৎস্ত উবাচ । বসন্তমাসমাসাদ্য তৃতীয়ায়াং জনপ্ৰিয় । শুক্ল পক্ষপ্ত পূৰ্ব্বাহ্রে তিলৈঃ স্নানং সমাচরেৎ ॥ তস্মিন্নাহনি স দেবী কিল বিশ্বায়ুন সতী । পাণিগ্রহণকৈৰ্মস্ত্রৈরবসম্বরবর্ণিনী ॥ ১৫ তয়া সহৈব দেবেশং তৃতীয়ায়ামথার্চয়েৎ ফলৈৰ্ণনাবিধৈধু পৈদীপ-নৈবেদ্যসংযুভৈঃ ॥১৬ সৌভাগ্য রস পান করিয়াছিলেন বলিয়া র্তাহার এক দুহিতা উৎপন্ন হয়। এই দুহিত। সতী নামে অভিহিত । তিনি লালিত্যে লোক সকল অতিক্রম করিয়া ললিত নামে কীৰ্ত্তিত হন । ত্রিলোচন ঐ ত্রিলোকসুন্দরী ললনার পাণিগ্রহণ করেন । এই দেবীই সৰ্ব্ব সৌভাগ্যময়ী ও ভুক্তি-মুক্তি-ফলদায়িনী। ইহঁাকে ভক্তিপূৰ্ব্বক আরাধনা করিয়া নারী বা নর কোন ফলই বা না প্রাপ্ত হইয়া থাকে ? ১—১২ । মন্ত্র কহিলেন,—হে জনাৰ্দ্দন ! সেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনা কিরূপে করিতে হয় ? তাহার বিধান কি ? হে জগন্নাথ ! তৎসমস্ত আমার নিকট ব্যক্ত করুন। মৎস্ত কহিলেন,—হে জনপ্রিয় ! মধুমাসের শুক্লপক্ষীয় তৃতীয়া তিথিতে পূৰ্ব্বাহ্লে তিলভৈলে মান করিবে । এই দিবসই সেই বরবর্ণিনী সতী দেবী বিশ্বাত্মা বিভুর সহিত বৈবাহিক মন্ত্রে একত্র বাস করিয়াছিলেন । সুতরাং সেই শিব শিবা উভয়কেই ঐ তৃতীয় দিনে অর্চনা করিবে । নানাবিধ ফল, ধুপ, দীপ ও নৈবেদ্যাদি এই পূজার উপচার হইবে