পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্র্যধিকশততমোহ৭্যায়ঃ । এবং স্বৰ্য্যং নমস্কৃত্য ত্রিঃ ক্লত্বাথ প্রদক্ষিণম্। দ্বিজং গাং কাঞ্চনং স্পৃষ্ট্র ততে। বিষ্ণুগ্ৰহং ব্রজেৎ ইতি শ্ৰীমাৎস্যে মহাপুরাণে স্নানবিধির্নাম দ্ব্যধিকশততমোহুধ্যায়ঃ ॥ ১০২ ॥ ভ্ৰাধিকশততমোই ধ্যায়: । নন্দিকেশ্বর উবাচ । অতঃ পরং প্রবক্ষ্যামি প্রয়াগস্যোপবর্ণনম্ । মার্কণ্ডেয়েন কথিতং যং পুরা পাণ্ডুহুনবে ॥ ১ ভারতে তু যদা বৃত্তে প্রাপ্তরাজ্যে পৃথামৃতে এতমিমস্তরে রাজা কুন্তীপুত্রে যুধিষ্ঠিরঃ ॥ ২ ভ্রাতৃশোকেন সস্তপ্তশ্চিন্তয়ন স পুনঃপুনঃ । আসীং অযোধনে রাজা একাদশচমুপতিঃ ॥৩ অস্মান সস্তাপ্য বহুশঃ সৰ্ব্বে তে নিধনং গতাঃ বাসুদেবং সমাশ্রিত্য পঞ্চ শেষাভ পাণ্ডবা ॥৪ দিবাকর ! তোমায় নমস্কার। প্রভাকর ! তোমায় নমস্কার । এইরূপে স্থৰ্য্যকে তিনবার নমস্কার করিয়া প্রদক্ষিণ করিবে এবং গো-ব্রাহ্মণ ও কাঞ্চন স্পর্শ করিয়া বিষ্ণুগুহে গমন করিবে । ১৩—৩১ । স্ব্যধিকশততম অধ্যায় সমাপ্ত । ১০২ ৷ ত্ৰ্যৈধিকশততম অধ্যায় । নন্দিকেশ্বর কহিলেন,—অতঃপর প্রয়াগধামের বর্ণন করিতেছি । ইহা পূৰ্ব্বে মার্ক ণ্ডেয়, পাণ্ডুপুত্রের নিকট বর্ণন করিয়াছিলেন । যখন ভারতযুদ্ধ নিবৃত্ত হইল ; যুধিষ্ঠির রাজ্য পাইলেন। তখন একদিন সেই কুন্তীপুত্র যুধিষ্ঠির ভ্রাতৃশোকে সস্তপ্ত হইয়া পুনঃপুনঃ চিস্তা করিতে লাগিলেন,—একদা সুযোধন এই রাজ্যের রাজা ছিল ; সে একাদশ অক্ষৌহিণীর অধীশ্বর ছিল ; আমাদিগকে বহুধা সস্তাপিত করিল, করিয়া সকলেই নিধন । প্রাপ্ত হইল। আমরা পাচজনমাজ পাণ্ডুপুত্র হত্বা ভীষ্মঞ্চ দ্ৰোণঞ্চ কর্ণঞ্চৈব মহাবলম হুর্য্যোধনঞ্চ রাজানং পুত্রভ্রাতুসমম্বি তম । ৫ রাজানো নিহতা: সৰ্ব্বে যে চান্তে শুরমানিন: কিং নো রাজ্যেন গোবিন্দ কিং ভোগৈ জীবিতেন বা ॥ ৬ ধিকৃ কষ্টমিতি সঞ্চি স্ত্য রাজা বৈক্লব্যমাগতঃ । নিৰ্ব্বিচেষ্ট্রে নিরুৎসাহুঃ কিঞ্চিৎ তিষ্ঠত্যধোমুখঃ লন্ধসংঙ্কে যদ। রাজা চিন্তয়ন স পুনঃপুনঃ । কতরো বিনিয়োগে বা নিয়মই তীর্থমেব চ ॥৮ যেনাহং শীঘ্রমামুঞ্চে মহাপাত ককিস্বিষাৎ । যত্র স্থিত্বা নরে। যাতি বিষ্ণুলোকমক্ষত্তমম ॥ ৯ কথং পৃচ্ছামি বৈ কৃষ্ণং যেনেদং কারিতো হস্ম্যহম্ । ধৃতরাষ্ট্রং কথং পৃচ্ছে যস্য পুত্রশতং হুতম্ ॥১৭ এবং বৈক্লব্যমাপল্লো ধৰ্ম্মরাজ্যে যুধিষ্ঠিরঃ। বাসুদেবকে অtশ্রয় করিয়া বীচিলাম । মহাবল ভীষ্ম, দোণ ও কর্ণকে এবং ভ্রাতা ও পুত্র সহ শৌৰ্য্যাভিমানী রাজা সুযোধনকে নিহত করত রাজীকে শমনসদনে প্রেরণ করিলাম ! হা গোবিন্দ ! আমাদের এখন | এই বন্ধুহীন রাজ্যে জীবনে বা ভোগে প্রয়ো জন কি ? ধিক্ কষ্ট ! এইরূপ চিন্তা করিয়া রাজা যুধিষ্টির বড়ই বিহ্বল হইয়া পড়িলেন । তাহার কোন চেষ্টা বা উৎসাহ কিছুই রহিল না । তিনি চিন্তায় কিঞ্চিৎকাল অধোমুখে রহিলেন । কতক্ষণ পরে তাহার চৈতন্ত হইল,তিনি বারস্বার চিস্ত করিতে লাগিলেন যে, এমন কি নিয়ম বা তীর্থস্থান আছে যাহা পালন করিয়া বা যেখানে গিয়া আমি সত্বর মহাপাতকরাশি হইতে অব্যাহতি পাইতে পারি। মেথানে গিয়া অনুত্তম বিষ্ণুপদ প্রাপ্ত হওয়া যায়, সে স্থান কোথায় তাহা আমি কেমন করিয়া কাহাকে জিজ্ঞাসা করি । কৃষ্ণই ত আমায় এই বর্তমানদশায় উপনীত করিয়াছেন, সুতরাং তঁহাকেই বা কিরূপে জিজ্ঞাসা করি ? আর বৃদ্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্র, তাহার শত পুত্র হত্যা করিয়াছি, তাহার নিকটই বা কেলি