পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশমে২িধণয়ঃ । অধৰ্ম্মনিরভশ্চালীশ্বলবান বসুধাধিপঃ ॥ ৪ লোকেইপ্যধৰ্ম্মকুজীতঃ পত্নভাৰ্য্যাপহারকঃ । ধৰ্ম্মাচারস্য সিদ্ধ্যর্থং জগতোহথ মহর্ষিভিঃ । ৫ অন্ধনীতোহুপি ন দদাবনুজ্ঞাং স যদা ততঃ। শাপেন মারয়িত্বৈনমরাজকভয়াদিত ॥ ৬ মমস্থ ব্রাহ্মণস্তিস্ত বলীদেহুমকল্মষা: । তৎকারান্সথ্যমানাৎ তু নিপেতুন্নেছজাতয় ॥ শরীরে মাতুরংশেন কৃষ্ণাঞ্জনসমপ্রভাঃ । পিতুরংশস্য চাংশেন ধাৰ্ম্মিকোহধৰ্ম্মচারিণী ॥ ৮ উৎপয়ে দক্ষিণদ্ধিস্তং সধন্থঃ সশরো গদ । দিব্যতেজোময়বপুঃ সরত্নকবচাঙ্গদ ॥ ৯ পৃথোরেবাভবদষত্নাৎ ততঃ পৃথুরজায়ত । স বিপ্রৈরভিষিক্তোহুপি তপঃ কৃত্বা সুদারুণম্ অঙ্গরাজের বেণ নামে এক পুত্র হয় । বলবান বেণ বসুধারাজ্যের অধিপতি হইয়া অধৰ্ম্ম কার্থ্যে নিরত হয়েন । বেণরাজ অধৰ্ম্ম কার্য্যে এতদূর অগ্রসর হইয়াছিলেন যে, তিনি পরস্ত্রী হরণ করিতেও সঙ্কোচ বোধ করিতেন না । জগতের ধৰ্ম্মব্যবস্থা রক্ষণ করিবার জন্ত মহর্ষিগণ র্তাহীকে বহুবার অনুনয় করিলেও তিনি কিছুতেই তাহাতে সম্মত হইলেন না ; তখন তুষ্টরাজ-ভয়ে প্রপীড়িত হইয়া নিষ্পাপ ব্রাহ্মণগণ র্তাহীকে শাপদগ্ধ করিলেন এবং সবলে মথিত করিতে লাগিলেন । তদীয় মথিত কায় হইতে অসংখ্য ম্লেচ্ছজাতি প্রান্তর্ভুত হইল। এই সকল জাতি বেণ-দেহে তদীয় মাতার অংশে জন্মিয়াছিল বলিয়া কঙ্কালবৎ কৃষ্ণবর্ণ হয় । অনস্তর অধৰ্ম্মচারী বেণরাজের পিতার অংশাংশে বেণের মথিত দক্ষিণ হস্ত হইতে এক দিব্য পুরুষ প্রাতৃত হইলেন । এই পুরুষের হস্তে ধনু, শ’র ও গদা মুশোভন । ইহঁর দেহ দিব্য তেজোময় ; ইনি রত্নকবচ ও রত্নাঙ্গদধারী। পৃথু অর্থাৎ বিপুল যত্বের ফলে ইহঁীর উৎপত্তি হয় বলিয়া ইনি পৃথু নামে প্রসিদ্ধিলাভ § 2) বিফোর্বরেণ সৰ্ব্বস্ত প্রভুত্বমগমং পুনঃ । নিঃস্বাধ্যায়বষটুকরিং নিৰ্দ্ধৰ্ব্বং বীক্ষ্য ভূতলম্ ॥ দন্ধুমেবোদ্যতঃ কোপাছরেণামিতবিক্রমঃ। ততো গোরুপমাস্থায় ভূঃ পলায়িতুমুল্যত ॥১২ পৃষ্ঠতোহমুগতস্তস্তাঃ পৃথুদীপ্তশরাসনঃ ॥ ততঃস্থিত্বৈকদেশে তু কিংকরোমীতি চাব্ৰবীৎ পৃথুরপ্যবদদ্বাক্যমীপিতং দেহি সুব্ৰতে । সৰ্ব্বস্ত জগভঃ শীঘ্রই স্থাবরশ্ব চরস্য চ | ১৪ তথৈব সাব্ৰবীভূমিত্বদোহ স নরাধিপঃ । স্বকে পাণে পৃথুর্বৎসং কৃত্ব স্বায়স্থবং মজুম ॥১৫ তদন্নমভবচ্ছুদ্ধং প্রজা জীবস্তি যেন বৈ ৷ ততম্ভ ঋষিভিৰ্দুস্কা বৎস! সোমস্তদাতবৎ ॥১৬ দোঙ্কা বৃহস্পতিরভূৎ পত্রিং বেদস্তপো রস । দেবৈশ্চ বসুধা হুধা দোগ্ধা মিত্রস্তদাভবৎ । ১৭ ষিক্ত করিলেন। পৃথু রাজা হুইয়াও তীব্র তপস্যাচরণ করেন। বিষ্ণুর প্রসাদে পৃথুর প্রভুত্ব সৰ্ব্বত্র অক্ষুন্ন হয়। অমিতবিক্রম পৃথু রাজা হইয়া যখন দেখিলেন,—ভূতলে স্বাধ্যায় নাই, বষটুকার নাই, ধৰ্ম্ম নাই, তখন কোপভরে শরপ্রভাবে ধরণীকে দগ্ধ করিতে সমূদ্যত হইলেন । ধরণী তখন ভয়ে গোরূপ ধরিয়া পালয়নের উপক্রম করিলেন।১—১২। প্রদীপ্ত শর-শরাসনধারী পৃথু তখন ধরণীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটলেন । অনন্তর ধরণী এক স্থানে অপেক্ষা করিয়া পৃথুর প্রতি বলিলেন,—রাজনৃ ! আমি কি করব ? পৃথু বলিলেন,—হে সুপ্রভে! তুমি সত্বর চরচর নিখিল জগতের অভীষ্ট প্রদান কর । ধরণী বলিলেন,—“তখণ্ড’। তখন রাজা পৃথু স্বায়ুস্তুব মন্থকে বৎস কল্পনা করিয়া স্বীয় পাণিপুটে ভূমিকে দোহন করিলেন। এই দোহন কার্য্যের ফলে যে অন্ন উৎপন্ন হইল, তাহাতেই প্রজাকুল জীবন ধারণ করিতে লাগিল । অনস্তর বহু ব্যক্তি পৃথিবীকে দেjইন করিলেন । তন্মধ্যে ঋষিগণ যখন পৃথ্বী দোহন করেন, তখন সোম বৎস, করেন। ব্রাহ্মণগণ এই পৃথুকেই রাজ্যাভি. । বৃহস্পতি দোস্ক, বেদ পত্র এবং তপস্যা রস