পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তচত্বারিংশদধিকশততমোছধ্যায়ঃ । ক্ষণেনৈকেন তল্লভ্যং ত্যত্ত্বণহরমুপস্থিতম ॥৭ ত্যাগে৷ ই প্রাপ্তকামানাং কামেভ্যৌ ন তথা 名夺3 যথ প্রাপ্তং পরিভ্যজ্য কামং কমললোচন ॥৮ শ্রীত্বৈতত্ত্ব হ্মণে বাক্যং দৈত্যঃ প্রাঞ্জলিরত্রবৎ চিস্তয়ংস্কপস যুক্তে হৃদি ব্ৰহ্মমুখেরিতম ॥ ৯ বজাঙ্গ উবাচ। উত্থিতেন ময় দৃষ্ট সমাধানাৎ ত্বদাজ্ঞয় । মহিষী ভীষিত দীনা রুদতী শথিন স্তলে ॥১ • সা ময়োক্তা তু তপঙ্গী দৃয়মানেন চেতসা । কিমেবং বর্তসে ভীরু বদ ত্বং কি চিকীর্ষসি ॥১১ ইতু্যক্ত স ময়া দেব প্রোবাচ স্থলিতাক্ষরম বাক্যং বাচস্পতে ভীত তম্বঙ্গী হেতুসংহিতম্ ॥ বরাঙ্গাবাচ । ত্রসিতাম্মgপবিদ্ধাৰ্ম্মি কৰ্ষিত পীড়ি ভাৰ্ম্মি চ | তুমি এক্ষণে এ কি করিতেছ? দেখ, সহস্ৰ বর্ষ নিরাহুর থাকিলে যে ফল হয়, উপস্থিত অtহার ত্যাগ করিলে ক্ষণমাত্রেই তাহা লভ্য হইয় থাকে । হে কমললোচন ! প্রাপ্ত কাম পরিত্যাগ করা যতদূর কঠিন কাৰ্য্য, অপ্রাপ্ত কমের পরিত্যাগ ততদূর গুরুতর নহে । তপোনিষ্ঠ বজাঙ্গ ব্ৰহ্মার এই কথা শুনিয়া মনে মনে আলোচনা করিয়া যুক্ত করে কহিল,—হে দেব ! আমি আপনার আজ্ঞায় সমাধি হইতে উখিত হইয়া দেখিলাম,— মদীয় মহিষী ভীষিত হইয়া দীনবদনে বৃক্ষতলে বসিয়া রোদন করিতেছে । তাহা দেখিয়া আমি ফুঃখিত-হৃদয়ে সেই তস্বঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করিলাম,—হে ভীরু ! তুমি এখানে রহিয়tছ কেন ? তোমার কি হইয়াছে ? তুমি কি করিতে ইচ্ছা করিয়tছ ? আমার নিকট বল । হে দেব ! আমি এই কথা কহিলে, সেই তম্বঙ্গী মৎপত্নী ভীত হইয়া স্থলিতাক্ষরে এই হেতুসঙ্গত বাক্য বলিল । বরাঙ্গী কহিল, আমি চণ্ডপ্রকৃতি দেবরাজ কর্তৃক অনাথার স্থায় বহু প্রকারে এাসিত, অপবিদ্ধ, কর্ষিত ও ՑԵ Յ রৌদ্রেণ দেবরাজেন নষ্টনাথেব ভুরিশ ॥১৩ :খস্তান্তমপগুষ্ঠা প্রাণাংস্ত্যক্রুং ব্যবস্থিত। পুত্ৰং মে তারকং দেহি হম্মদুঃখমহার্ণবৎ ॥১৪ এবমুক্তম্ভ সৰ্ভূক্ষুন্ধস্তস্তাঃ পুত্রার্থমুদ্যতঃ । তপে ঘোরং করিষ্যামি জয়ায় ত্রিদিবোঁকসান এতচ্ছ্বত্বা বচে দেবঃ পদ্মগর্ভোস্তবস্তদা । উবাচ দৈত্যরাজনং প্রসন্নশ্চতুরানন ॥১৬ শ্রহ্মেণবাচ । অলঃ তে তপস বৎস মা ক্লেশে হস্তরে বিশ । পুলস্তে তারকে নাম ভবিষ্যতি মহাবল ॥১৭ দেবসীমস্তিনীমান্তু ধৰ্ম্মিল্লস্ত বিমোক্ষণঃ। ইত্যুক্তে দেত্যমাথম্ভ প্ৰণিপত্য পিতামহম ॥১৮ আগত্যানন্দয়ামাস মহিষীং হর্ষিতাননঃ । তে দম্পতী কৃতার্থে তু জগ্মতুঃ স্বাশ্রম মূল। বজাঙ্গেণাহিতং গর্ভং বরাঙ্গী বরবর্ণিনী। পীড়িত হইয়াছি। আমি হুঃখের অন্তসীমা দেখিতে না পাইয়া এক্ষণে প্রাণত্যাগে প্রভত হইয়াছি । আপনি আমাকে দুখার্ণব হইতে পরিত্রাণক্ষম একটী প্রদান করুন। পত্নী এই কথা কহিলে, আমি ক্ষুব্ধ হইলাম এবং তাহাকে পুত্র দান করিতে উদ্যত হইয়া স্বৰ্গবাসীদিগকে জয় করিবার নিমিত্ত এক্ষণে ঘোর তপস্থা করিব বলিয়া স্থির করিলাম । ৫—১৫ । তখন পদ্মজন্ম চতুরনেম ব্ৰহ্মা দৈত্যরাজের ঐ কথা শুনিয়া প্রসন্নচিত্তে বলিলেন,—ৰৎস ! তোমার তপস্যা করিবার প্রয়োজন নাই, তুমি এই হ্রস্তর ক্লেশকর ব্যাপারে নিবিষ্ট হুইও না । আমি বলিতেছি, তারক নামে তোমার এক মহাবল পুত্র উৎপন্ন হইবে । ঐ পুত্রের কাৰ্য্যে স্বরসীমস্তিনীগণের কেশকলাপ সদাই উন্মুক্ত রুহিবে । পিতামহ এই কথা কহিলে, দৈত্যপতি তাহাকে প্রণামপূৰ্ব্বক হৃষ্টবদনে স্বীয় মহিষীর নিকট আসিয়া ভাবী পুত্রপ্রাপ্তির কথায় তাহাকে আনন্দিত কক্সিলঃ তখন পতিপত্নী উভয়েই কৃতকৃত্য হইয়া সহুর্বে স্বীয় আশ্রমের দিকে গমন করিল।