পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্টচত্ত্বরিৎশদধিকশততমোছধ্যায়ঃ । নানাবিধোত্তরসঙ্গা নানামাল্যবিভূষণ ॥ ৫৬ নানামুগন্ধিগন্ধঢ্য। নানাবন্দিজমস্ততাঃ । নানাবাদ্যপরিম্পন্দীশচীগ্রেসরমহারথtঃ ॥ ৫৭ নানাশৌর্য্যকথাসক্তাস্তম্মিন সৈন্তে মহামুরা: তদ্বলং দৈত্যসিংহস্য ভীমরূপং ব্যজtয়ত ॥ ৫৮ প্ৰমত্ত-চগুমাতঙ্গ-তুরঙ্গং রথসস্কুলম । প্রতস্থেহমর যুদ্ধায় বস্থপত্তিপতাকিনম ॥ ৫৯ এতম্মিল্পস্তরে বায়ুদেবদূতোহুস্বরালয়ে । দৃষ্ট্র। স দানব বলং জগামেশ্রস্ত সংশিতুম ॥৬• স গত্বা তু সভাং দিব্যাং মহেন্দ্রস্ত মহাত্মনঃ। শশংস মধ্যে দেবানাং তৎ কার্য্যং সমুপস্থিতমূ তচ্চুহু দেবরাজপ্ত নিমীলিতবিলোচনঃ। বৃহস্পতিমুবাচেদং বাক্যং কালে মহাভুজ ॥৬২ ইন্দ্র উবাচ । সম্প্রাপ্নোতি বিমর্দোহয়ং দেবানাং দানবৈঃ সহ ও বিচিত্ৰকৰ্ম্ম । সকলেরই কর্ণে কুণ্ডল ও মস্তকে উকীষ দেদীপ্যমান । তাহারা নানাবিধ উত্তরীয় বস্ত্রে অস্বিত,নানা মালায় মণ্ডিত, নানা সুগন্ধি দ্রব্যে গন্ধযুক্ত, বিবিধ বন্দি জন কর্তৃক সংগুত, নানাবিধ বাদ্যরবে পরিস্পন্দিত এবং বিবিধ বীরত্বব্যঞ্জক বাক্যালীপে আসক্ত । এই দৈত্যগণ সকলেই অগ্রগামী এবং সকলেই ‘মহারথ’ আখ্যায় অভিহিত । এইরূপে সেই দৈত্যরাজের সৈন্তব্যুহ ভীষণাকারে বিরাজিত হইল । প্রচও মাতঙ্গ ও তুরঙ্গদল রণমদে মাতিয়া উঠিল। অগণিত অসুরসৈন্ত, বহু পদাতি পতাকাধারী ও রথসমূহে সঙ্কুল হইয়া অমরগণ সহ যুদ্ধার্থ প্রস্থান করিল । এই সময় অস্বরস্থ দেবদূত সেই ভীষণ দানব-বলের যুদ্ধোপ্তম দেখিয়া ইন্দ্রের নিকট সেই সংবাদ জানাইবার জন্ত গমন করিলেন । তিনি মহাত্ম। মহেঞ্জের দিব্য সভায় গমন করিয়া সমস্ত দেব-সমক্ষে সেই উপস্থিত মহাকার্য্য-বীৰ্ত্তা নিবেদন করিলেন । দেবরাজ তছুবণে নয়ন নিৰ্মীলিত করিয়া কিঞ্চিৎ কাল পরে বৃহস্পভিকে বলিলেন,—শুরো ! সম্প্রতি দেব 8bూస কাৰ্য্যং কিমত্র তদক্ৰহি নীত্যুপায়সমধিতম্ ॥ ৬৩ এভচ্ছ্বত্ব তু বচনং মহেন্দ্রস্ত গিরাংপতিঃ । ইত্যুবাচ মহাভাগে বুহম্পতিরুদারধী ॥ ৬৪ সামপুৰ্ব্বা স্মৃত নীতিশ্চতুরঙ্গাং পতাকিনীম্। জিগীষতাং সুরশ্রেষ্ঠ স্থিতিরেষা সনাতনী ॥৬৫ সাম ভেদস্তথা দানং দণ্ডশ্চাঙ্গচতুষ্টয়ম্। নীতেী ক্রমীদেশ-কাল-রিপুযোগ্যক্রমাদিদম সাম দৈত্যেযু নৈবাস্তি যতস্তে লন্ধসংশ্রয়াঃ । জাতিধৰ্ম্মেণ বা ভেদ্য দানং প্রাপ্তপ্রিয়ে চ কিম একোহুভু্যপায়ে দণ্ডোহুত্র ভবতা যদি রোচতে তুর্জনেষু কৃতং সাম মহদ্ব্যাতি চ বন্ধ্যতাম ॥৬৮ ভয়াদিতি ব্যবস্তস্তি ক্রুরা সাম মহাত্মনাম। ঋজুতামাৰ্য্যবুদ্ধিত্বং দয়ানীতিব্যতিক্রমম ॥ ৬১ ও দানবগণের ভীষণ সজঘর্ষ উপস্থিত । এক্ষণে আমাদের কৰ্ত্তব্য কি, আপনি তাহান্ন নীতি-সঙ্গত উপায় ব্যক্ত করুন। উদারধী গীপতি মহেন্ত্রের তাদৃশ বাক্য শ্রবণ করিয়া প্রত্যুত্তরে বলিলেন,—হে সুরশ্ৰেষ্ঠ ! ষাহারা চতুরঙ্গবাহিনী জয় করিতে ইচ্ছা করেন, র্তাহাদিগের পক্ষে সামপুৰ্ব্বক নীতি অবলম্বন করাই বিধেয় এবং ইহাই সনাতনী ব্যবস্থা । সাম, ভেদ, দান ও দণ্ড—নীতিশাস্ত্রে এই চতুৰ্ব্বিধ উপায় উপদিষ্ট হইয়াছে। এই উপায়চতুষ্টয় দেশ, কাল ও রিপুর যোগ্যতা অস্থ সারে ক্রমশঃ প্রয়োগ করা কৰ্ত্তব্য ॥৯৪–৬৬ তন্মধ্যে দৈত্যগণে সাম উপায় প্রযুজ্য হইতে পারে না । কেন না, তাহারা লন্ধাশ্রয় হইয়াছে। পরন্তু জাতীয় ধৰ্ম্মান্থসারে তাহাঙ্কের প্রতি ভেদনীতিও প্রযোজ্য হইবার নহে। তৎপরবর্তী উপায় দান—শ্ৰী-সম্পত্তিশালী দৈত্য রাজে প্রযোজ্য হইলেও ফল কিছুই নাই । তবে একমাত্র শেষ উপায় দণ্ড । তোমার যদি অভিপ্রেত হয়, উপস্থিত ক্ষেত্রে তাহাই তোমার অবলম্বনীয়। হর্জনে প্রভূত সাম প্রয়োগ করিলেও তাহ ব্যর্থ হইয়া যায়। ক্রুর হুঙ্গনেরা মহাত্মগণের সাম প্রয়োগ দেখিয়া মনে করে যে, ঐ উপায়