পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশজধিকশততমোছধ্যায়ঃ । QË . É স্ত্রণে বিনিকতান দৃষ্ট্র। নেমিঃ স্বান দানবাধিপঃ রূপং স্বত্ত প্ৰপদ্যস্ত হমুরঃ স্বরধৰ্ষিতঃ ॥ ১৬১ কালনেমী রুষাবিষ্টস্তেষাং রূপং ন বুদ্ধবান । নেমিদৈত্যভ তান দৃষ্ট কালনেমিযুবাচ হ ॥১৬২ অহং নেমিঃ সুরে নৈক কালনেমে বিদগ্ধ মাম ভবত মোহিতেনজে নিহতানুক্রবিক্রম ॥১৬৩ দৈত্যানাং দশলক্ষণণি বুর্জয়ানাং সুরৈরিহ । সৰ্ব্বাস্ত্রবারণং মুঞ্চ ব্রাহ্মমন্ত্রং ত্বরান্বিতঃ ॥ ১৬৪ স তেন বোধিতো দৈত্যঃ সন্ত্রমণকুলচেতনঃ । যোজয়ামাস বাণং হি ব্ৰহ্মাস্ত্রবিহিতেন তু ॥১৬৫ মুমোচ চাপি দৈত্যেশ্র: স স্বয়ং সুরকণ্টক । ততোহুস্ত্রতেজসা ব্যাপ্তং ত্ৰৈলোক্যং সচরাচরম দেবনাঞ্চাভবৎ সৈন্তং সৰ্ব্বমেব ভয়স্বিতম্। ও সারথিদিগকে ছিন্নভিন্ন করিল এবং কতকগুলিকে রথবেগে ও কতকগুলিকে সকোপে প্রচণ্ড মুষ্ট্যাঘাতে নিষ্পেষিত করিল। দানবাধিপ কলিনেমি এইরূপে রণে স্বীয় সৈন্ত দিগকেই নিহত করিল। এই সময় সুরপীড়িত অসুরের পুনয়ায় স্ব স্ব রূপ প্রাপ্ত হইল । কালনেমি ক্রোধাবিষ্ট হইয় তাহীদের সেই রূপবিপৰ্য্যয় বুঝিতে পারিল না । কিন্তু নেমি নামক জনৈক দৈত্য তাহাদিগকে তদবস্থ দেখিয়। কালনেমিকে কহিল ;–ওহে কালনেমি ! আমি সুর নহি, আমি নেতি নামক দৈত্য, আমার সহিত কথা কও । ওহে উরুবিক্রম ! সুরগণও যাহাদিগকে জয় করিতে পারিত না, তুমি আজ মোহিত হইয়া তাদৃশ দশ লক্ষ অস্বর সৈন্ত সমরে বিনষ্ট করিয়াছ । অতএব তুমি ত্বরান্বিত হইয়া এক্ষণে সৰ্ব্বাস্ত্রহর ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ কর । সন্ত্রমাকুলচেতা দানবেন্দ্র কালনেমি, নেমি দানব কর্তৃক প্ৰবোধিত হইয়া তৎকালে ব্ৰহ্মাস্ত্রবিধানে স্বীয় শরাসনে শর যোজনা করিল এবং ঐ সুরকণ্টক দৈত্যেন্দ্র অবিলম্বে ঐ অস্ত্র পরিত্যাগ করিল। তখন সেই অস্তুতেজে সচরাচর ত্ৰৈলোক্য পার সঞ্চরাস্ত্রঞ্চ সংশাস্তং স্বয়মাযোধনে বভেী ॥১৬৭ তস্মিন প্রতিহতে হস্ত্রে ভ্রষ্টতেজা দিবাকরঃ । মহেন্দ্রজালমাশিত্য চক্রে স্বাং কোটিশস্তস্থম্ ॥ বিস্ফুর্জৎকরসম্পাত-সমাক্রাস্তুজগত্রয়ম্। ততাপ দানবানীকং গতমজ্জৌঘশোণিতম্ ॥ ততশ্চাবর্ষদনলং সমস্তাদতিসংহতমৃ । চক্ষুংষি দানবেন্দীণাং চকারাদ্ধানি চ প্ৰভুঃ ॥ গজানামগলন্সেদ: পেতুশচাপ্যরবা ভুবি। তুরগা নিশ্বসস্তশ্চ ঘৰ্ম্মার্তা রথিনোহপি চ ॥১৭১ ইতশ্চেতশ্চ সলিলং প্রার্থয়স্তস্তৃষাতুরাঃ । প্রচ্ছায়বিটপাংশ্চৈব গিরীণাং গহবরাণি চ ॥ দণবাগ্নিঃ প্রজ্বলংশ্চৈব ঘোরার্চিদগ্ধপাদপ । তোয়ার্থিনঃ পুরো দৃষ্ট্র তোয়ং কল্লোলমালিনম ব্যাপ্ত হইল । সমগ্র দেবসৈন্ত ভীত হইল, এবং স্বর্য্যের সেই সঞ্চারণস্ত্র অপেন হইতেই শাস্ত হইয় গেল । সঞ্চারাস্ত্র প্রতিহত হইলে দেব দিবাকর ক্ষীণতেজ হইলেন । তৎকালে তিনি এক বিষম ইন্দ্রজাল অtশ্রয় করিলেন—করিয়া স্বীয় দেহকে কোটি কোটি ভাগে বিভক্ত করিলেন । তাহার বিস্কুর্জিতকর-নিকর-পাতে ত্রিজগৎ সমাক্রাস্ত হইল । তিনি দানবসৈন্তদিগের মজ্জা ও শোণিতরাশি শোষিত করিয়া তাহাদিগকে তাপিত করিতে,লাগিলেন । ১৫৭–১৬৯ ৷ অনস্তর সূৰ্য্যের কর্তৃত্বে চতুৰ্দ্দিকু হইতে নিবিড়ভাবে অনলবৃষ্টি হইতে লাগিল । জগৎপ্ৰভু দিবাকর দানবেন্দ্রগণের চক্ষু অন্ধ করিয়া ফেলিলেন । তাহার প্রভাবে গজগণের মেদে{রাশি গলিতে লাগিল । তাহারা নিঃশব্দে ভূপৃষ্ঠে পতিত হইতে লাগিল, তুরগ সকল মুহুর্মুহু নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে লাগিল । রথিগণ ঘৰ্ম্মৰ্ত্ত হইয়া পড়িল । তাহার। তৃষ্ণায় কাতর হইয়া জলপ্রার্থনায় ইতস্ততঃ ছুটাছুটি করিতে লাগিল এবং রণক্ষেত্র হইতে অপক্রান্ত হইয়া ছায়াবহুল বিটপ ও গিরিগহ্বরের দিকে ধাবিত হইল। ঘোর দাবাগ্নি প্ৰজলিত হইয়া পাদপসকল