পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষট পঞ্চাশদধিকশততমোছধ্যায়ঃ । আড়িশ্চকার বিপুলং তপঃ পরমদারুণম্। তমাগত্যাব্ৰবীদূত্রহ্মা তপসা পরিভোষিতঃ u | কিমাড়ে দানবশ্রেষ্ঠ তপসা প্রাণ্ডুমিচ্ছসি। ব্ৰহ্মাণমাহ দৈত্যভ নিমৃত্যুত্বমহং বৃণে ॥ ১৬ ব্রহ্মেণবাচ ন কশ্চিচ্চ বিন মৃত্যুং নরো দানব বিদ্যতে । যতস্ততোহুপি দৈত্যেন্দ্র মৃত্যুঃ প্রাপ্যঃ শরীরিণী ॥ ১৭ ; ইত্যুক্তে দৈত্যসিংহস্ত প্রোবাচাযুজসম্ভবম্ । রূপস্য পরিবর্তো মে যদণ স্ত{ং পদ্মসম্ভব ॥ ১৮ তদা মৃতু্যৰ্মম ভবেদস্তথা ত্বমরে হহম্ । ইতু্যভণ্ড তদোবাচ তুষ্টঃ কমলসম্ভবঃ ॥ ১৯ যদা দ্বিতীয়ে রূপস্য বিবৰ্ত্তস্তে ভবিষ্যতি । তদা তে ভৰিত মৃত্যুরষ্ঠথা ন ভবিষ্যতি ॥ ২০ ইত্যুক্তোহমরতীং মেনে দৈত্যস্থমুর্মহাবল । i সে চিন্তান্বিত হইল । পুৰ্ব্বে গিরিশের হস্তে । অন্ধক নিহত হইলে, ঐ আড়ি দৈত্য বিপুল তপস্যা করিয়ছিল । ব্ৰহ্মা শেষে ঐ দৈত্যকে ! বর দান করিয়াছিলেন । ব্রহ্ম উহার প্রতি পরিতুষ্ট হইয়া আগমনপূৰ্ব্বক বলেন যে, হে দানবশ্রেষ্ঠ ! তুমি তপস্যা করিয়া কি বর লাভ করিতে ইচ্ছা করিয়াছ ? তাহীতে ঐ অাড়ি দানব ব্রহ্মার নিকট অমরত্ব প্রার্থনা করে। ব্রহ্মা বলেন,—হে দানব ! মৃত্যু ব্যতীত কাহারই চির স্থায়িত্ব নাই । অতএব হুে দৈত্যেন্ত্ৰ ! দেহধারী মাত্রকেই মৃতু্যগ্রস্ত হইতে হয় । ব্ৰহ্মা এই কথা কহিলে ঐ দৈত্যেন্দ্র পদ্মজন্মাকে বলিয়াছিল যে, হে পদ্মযোনে ? অামার যখন রূপ-পরিবর্তন ঘটিবে, তখনই যেন আমার মৃত্যু হয়। অদ্যথা আমি যেন অমর হইয়াই থাকি । সেই দৈত্য ঐ সকল কথা কহিলে, কমলযোনি তুষ্ট হুইয়া বলেন যে, যখন তোমার দ্বিতীয় রূপ-পরিবর্তন ঘটবে, তখনই তোমার মৃত্যু হইবে ; অস্তথা তোমার মৃত্যু নাই। ব্ৰহ্মার এই কথায় মহাবল দৈত্যনন্দন তখন ঐক্লপ অমরত্ব বরই যথেষ্ট মনে করিয়াছিল। এক্ষণে । 愛b*"> তস্মিন কালে তু সংস্মৃত্য তদ্বধোপায়মাত্মনঃ ॥ পরিহর্ভুং দৃষ্টিপথং বীরকস্তাভবৎ ভঙ্গ । ভুজঙ্গরূপী রন্ধেণ প্রবিবেশ দৃশঃ পথম ॥ ২২ পরিস্বত্য গণেশস্ত দানবোহুসেী মুহুর্জয়ঃ। অলক্ষিতো গণেশেন প্রবিষ্টেtহথপুরাস্তকম ॥ ভুজঙ্গরূপং সস্ত্যজ্য বভুবাথ মহাসুরঃ । উমরূপী চ্ছলয়িতুং গিরিশং মুঢ়চেতন ॥ ২৪ কত্বা মায়াং ততো রূপমপ্রতর্ক্যমনোহরম । সৰ্ব্বাবয়বসম্পূর্ণ সৰ্ব্বাভিজ্ঞানসংবৃতম্ ॥ ২৫ কৃত্বা মুখাস্তরে দস্তান দৈত্যো বজোপমান দৃঢ়নি । তীক্ষাগ্রান বুদ্ধিমোহেন গিরিশং হত্তমুদ্যতঃ ॥ কৃত্বোমীরূপসংস্থানং গতো দৈত্যে হরাস্তিকম্ পাপো রম্যাকৃতিশ্চিত্ৰ-ভূষণাস্বরভূষিতঃ । ২৭ তং দৃষ্ট্র গিরিশপ্তষ্টস্তদালিঙ্গ্য মহাস্বরম। মদ্যমানো গিরি মুতাং সৰ্ব্বৈল্পবয়বাস্তরৈঃ । ২৯ অপুচ্ছৎ সাধু তে ভাবে গিরিপুত্ৰি ন কৃত্রিমঃ ঐ আড়ি দৈত্য নিজের সেই বধোপায় বার্তা স্মরণ করিয়া বীরকের দৃষ্টিপথ পরিহার কামনায় ভুজঙ্গরূপে গৃহছিদ্র-পথে অলক্ষ্যে প্রবেশ করিল । গণপতি বীরক দানবের এই প্রবেশ ব্যাপার কিছুই জানিতে পারিলেন না। এদিকে দানব পুরাভ্যস্তরে প্রবেশপূৰ্ব্বক ভুজঙ্গরূপ পরিত্যাগ করিল এবং মুঢ়-বুদ্ধিবশতঃ উমরূপে গিরিশকে ছলিবার জন্ত চেষ্টিত হইল। ঐ দানব মায়া করিয়া সৰ্ব্বাঙ্গ-সম্পন্ন সৰ্ব্ব অভিজ্ঞানযুত অতকিত মনোজ্ঞ উমারূপ ধারণ করিল। পৰুত্ত্ব বুদ্ধিমোহে মুখ মধ্যে কয়েকট বজেপির তীক্ষাগ্র দস্ত আবিষ্কার করিয়া গিরিশকে । বধ করিতে প্রস্তুত হইয়া রহিল। আনস্তর অপূৰ্ব্ব উমারূপ ধারণপূর্বক ঐ পাপশয়: দৈত্য রম্যাকৃতি ও রম্য বসন ভূষণে সুসজ্জিত হইয়া হরাস্তিকে উপস্থিত হইল। ১৯—২৭ ৷৷ হর সেই মহাসুরকে উমাকৃতি দেখিয়া তুষ্ট: হইলেন এবং সৰ্ব্বপ্রকারে তাহাকে উম! বলিয়াই মনে করিয়া জিজ্ঞাসা কল্পি