পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একষস্ট্যধিকশততমোছধ্যায়ঃ । দৈত্যনামাদিপুরুষশ্চকার স মহৎ তপঃ ॥ ২ দশবর্যসহস্রাণি দশবর্ষশতানি চ | | জলবাসী সমভবৎ স্নানমোঁনধুতব্ৰত: ॥ ৩ ততঃ শম-দমাভ্যাঞ্চ ব্রহ্মচর্য্যেণ চৈব হি । ব্ৰহ্মা গ্ৰীতোহুভবৎ তন্ত তপসা নিয়মেন চ | ততঃ স্বয়ম্ভুৰ্ভগবান স্বয়মাগম্য তত্ৰ হ। বিমানেনার্কবর্ণেন হংসযুক্তেন ভাস্বতী ॥ ৫ আদিত্যৈৰ্বমুভিঃ সধ্যৈর্সরুদ্ভিদৈবভৈস্তথা । কৰ্দ্ৰৈবিশ্বসহায়ৈশ্চ যক্ষ-রাক্ষস-পন্নগৈ ॥ ৬ দিগ্‌ভিশ্চৈব বিদিগৃভিশ্চ নদীভিঃ সাগরৈস্তথ। নক্ষত্রেশ মুহূৰ্ব্বৈশ থেচরৈশ্চ মহাগ্রহৈঃ ॥ ৭ দেবৈব্রহ্মষিভিঃ সাদ্ধং সিদ্ধৈঃ সপ্তর্ষিভিস্তথা । রাজর্ষিভিঃ পুণ্যকৃপ্তির্গন্ধৰ্ব্বীপসরসাং গণৈঃ ॥ ৮ চরাচরগুরুঃ শ্ৰীমান বৃতঃ সৰ্ব্বৈদিবেীকসৈঃ। ব্ৰহ্মা ব্রহ্মবিদং শ্রেষ্ঠে দৈত্যং বচনমব্ৰবীৎ ॥ গ্ৰীতোহুৰ্ম্মি তব ভক্তস্থা তপসানেন সুব্রত । কহিলেন,—হে বিপ্রগণ ! পুরাকালে সত্যযুগে হিরণ্যকশিপুনামে দৈত্যগণের এক আদিপুরুষ ছিল । সেই দৈত্য রাজ দশ সহস্ৰ, দশ শতবর্ষ যাবৎ ক্লতমান হইয়া মৌনব্ৰত ধারণপূর্বক অণকণ্ঠ সলিলে সীতিশয় তপস্য। ফু রিয়াছিল । অনস্তর তাহার ব্রহ্মচৰ্য্য, শম, দম, তপস্যা এবং বিনয়ে ব্রহ্মা অতি প্রীত হইলেন । তখন চরাচরগুরু শ্ৰীমান ভগবান স্বয়স্থ প্রভাকরকরবিনিন্দিত প্রদীপ্ত হংসযুক্ত বিমানে আরোহণ করিয়| স্বয়ং তথtয় উপস্থিত হইলেন । জগৎপতি ব্ৰহ্মার সহিত তখন সিদ্ধ, সাধ্য, দ্বাদশ আদিত্য, বসুগণ, মরুদগণ, দেবগণ, বিশ্বসহায় রুদ্রগণ, যক্ষ, রাক্ষস, পল্পগগণ, দিকু ও বিদিকু সকল, নদীনিচয়, সাগরকুল, নক্ষত্রনিকর, মুহূৰ্ত্ত সকল, আকাশচর মহাগ্ৰহগণ, দেবগণ, ব্রহ্মর্ষিগণ, সপ্তর্ষিসকল, পুণ্যবান, রাজর্ষিগণ, গন্ধৰ্ব্ব ও অপসরা প্রভৃতি স্বৰ্গবাসিগণ আসিয়া উপস্থিতহইলেন । ব্রহ্মবিদ্‌বৰ্য্য ব্ৰহ্মা তখন দৈত্যপতি হিরণ্যকৃশিপুকে বলিলেন,—হে মুত্রত ! তোমার గ:సిఁ বরং বরয় ভদং তে ষথেষ্টং কমমাপুহি ॥ ১০ হিরণ্যকশিপুরুবাচ। ন দেবামুরগন্ধৰ্ব্ব ন যক্ষেরগরীক্ষসাঃ । ন মান্বষী; পিশাচ বা হুস্থ্যৰ্মাং দেবসত্তম ॥১১ ঋষয়ে বা ন মাং শাপৈঃ শপেযুৎ প্রপিতামহ । যদি মে ভগবান প্রীতে বর এয বৃতো ময় ॥ ন চান্ত্রেণ ন শস্ত্রেণ গিরিণ পাদপেন চ | ন শুদেণ ন চার্জেণ ন দিব ন নিশীথবা ॥ ১৩ ভবেয়মহমেবার্কঃ সোমো বায়ুহুতাশন । সলিলঞ্চস্তরীক্ষঞ্চ নক্ষত্রাণি দিশে দশ ॥ ১৪ অহং ক্রোধশচ কামশ্চ বরুণে বাসবো যমঃ । ধনদশ ধনাধ্যক্ষে যক্ষঃ কিম্পপুরুষাধিপঃ a ১৫ ব্রহ্মেণবাচ । এতে দিব্য বরাস্তাত ময় দত্তাস্তবাস্তুতঃ । সৰ্ব্বান কামান সদা বৎস প্রাপ্যসে ত্বং ন সংশয়ঃ ০ ১ ৬ এই তপশ্চরণে আমি প্রীত হইয়াছি, তোমার মঙ্গল হউক, তুমি বর গ্রহণ কর,— করিয়া অভীষ্ট বস্তু প্রাপ্ত হও । হিরণ্যকশিপু বলিল,—হে দেবোত্তম! কি অমর, কি অস্বর, কি গন্ধৰ্ব্ব, কি যক্ষ, কি পল্পগ, কি রাক্ষস, আমি কাহারও বধ্য হইব মা । মনুষ্য এবং পিশাচ আমাকে হনন করিতে পরিবে না। হে প্রপিতামহ। ঋষিগণ আমাকে অভিসম্পাভ করিবেন না। যদি আমার প্রতি আপনি প্রীত হইয়া থাকেন, তবে আমি এইরূপই বর প্রার্থনা করিতেছি। অপিচ কি অস্ত্র, কি শস্ত্র, কি পৰ্ব্বত, কি পাদপ, কিছুতেই আমার মৃত্যু হইবে না। রাত্রি কিম্বা দিবাতে আমি মরিব না। কোন শুষ্ক, কি অর্জ বক্ততে আমার মৃত্যু হইবে না । চন্দ্র, স্বৰ্য্য, পবন, হুতাশন এ সকল আমিই হইব। আমিই অন্তরীক্ষ, আমিই সলিল, আমিই নক্ষত্র, আমিই দশদিকৃ, আমিই কামক্রোধ, আমিই কৃতস্ত, আমিই বাসব এবং কিম্পুরুষপতি ধনাধ্যক্ষ কুবের আমিই হইব ॥১—১৫ । ব্ৰহ্ম কহিলেন,—হে তাত ! এই অদ্ভুত দিব্য বর