পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৭০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশীত্যধিকশততমোছধ্যায়ঃ । সৰ্ব্বষজ্ঞেষু যং পুণ্যমবিমুক্তে তদাধুস্থাৎ । ৫১ অতীতং বর্তমানঞ্চ অজ্ঞানাজ জ্ঞানতোহুপি বা সৰ্ব্বং তস্ত চ যৎ পাপং ক্ষেত্ৰং দৃষ্ট বিনগুতি ॥ শাস্তৈৰ্দাস্তৈন্তপস্তপ্তং যৎকিঞ্চিস্কৰ্ম্মসংজ্ঞিতম্। সৰ্ব্বঞ্চ ভঙ্গবাপ্নোতি অবিমুক্তে জিতেন্দ্রিয় ॥৫৩ অবিমুক্তং সমাসাদ্য লিঙ্গমৰ্চয়তে নয় । কল্পকোটিশভৈশচাপি নাস্তি তস্য পুনর্ভবঃ ॥৫৪ অমরা হঙ্কয়াশ্চৈব ক্রীড়স্তি ভবসন্নিধে । ক্ষেত্রতীর্থোপনিষদমবিমুক্তং ন সংশয় ॥ ৫৫ অবিমুক্তে মহাদেবমৰ্চয়স্তি স্তবস্তি বৈ ৷ সৰ্ব্বপাপবিনির্ভুক্তাস্তে তিষ্ঠ্যন্ত্যজরামরা ॥ ৫৬ সৰ্ব্বকমাশ যে যজ্ঞাঃ পুনরাবৃত্তিকাঃ স্মৃতাঃ। অবিমুক্তে মুতী যে চ সৰ্ব্বে তে হুনিবৰ্ত্তকাঃ ॥৫ গ্রহ-নক্ষত্র-ভারাণং কালেন পতনাস্তুয়ম । অবিমুক্তে মৃত্যনান্তু পতনং নৈব বিদ্যতে ॥৫৮ ফল এবং সমস্ত যজ্ঞানুষ্ঠান-জনিত যে সকল পুণ্য—সমস্তই এই অবিমুক্ত ক্ষেত্রে প্রাপ্ত হওয়া যায় । এই অবিমুক্ত ক্ষেত্র দর্শন করিলে মানবের অতীত, বৰ্ত্তমান, অজ্ঞানকৃত বা জ্ঞানকৃত সমস্ত পাপই বিনষ্ট হুইয়া থাকে। শাস্ত ও দস্ত ব্যক্তিগণ যাহা কিছু ধৰ্ম্ম সংজ্ঞিত কার্য্য করেন, জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তিগণ অবিমুক্ত ক্ষেত্রে তৎসমস্তই প্রাপ্ত হন । যে নর অবিমুক্ত ক্ষেত্র প্রাপ্ত হইয়া লিঙ্গার্চনা করেন, শতকল্প কোটি কালেও র্ত{হার আর পুনর্জন্ম হয় না ; অমর ও অক্ষয় হইয়া ভবসন্নিধানে ক্রীড়া করিয়া থাকেন। এই অবিমুক্ত ক্ষেত্র ক্ষেত্রতীর্থের উপনিষদ স্বরূপ, ইহাতে কিঞ্চিম্মাত্ৰও সংশয় নাই। র্যাহারা অবিমুক্ত ক্ষেত্রে মহাদেবের অর্চনা ও স্তব করেন, তাহারা সৰ্ব্বপাপ-নিৰ্ভূক্ত হইয়। অজ ও অব্যয়রূপে পরিণত হন। মানব সৰ্ব্বকামপ্রদ যজ্ঞাঙ্গুষ্ঠান করিয়াও পুনরাবৃত্তি হইতে নিস্কৃতি পায় না ; কিন্তু অবিমুক্ত ক্ষেত্রে যাহার। মৃত হন, তাহারা পুনরাবৃত্তিবর্জিত হইয়া থাকেন। কালবশে গ্রহ, নক্ষত্র ও ত্বারাগণের পত্তন অবগুস্তাৰী, কিন্তু অবি ●>° কল্পকোটিসহশ্রৈদ্ধ করকোটিশভৈয়পি । ন তেষাং পুনরাবৃত্তিমুর্ত যে ক্ষেত্র উত্তমে ॥৫৯ সংসারসাগরে ঘোরে ভ্রমস্তঃ কালপর্য্যয়াং ! অবিমুক্তং সমসাদ্য গচ্ছস্তি মণিকর্ণিকাশ ॥ ৬৬ জ্ঞাত্ব কলিযুগং ঘোরং হাহভূতমচেতনম্। অবিমুক্তং ন মুঞ্চস্তি কৃতার্থীস্তে নরা ভূবি ॥৬১ অবিমুক্তং প্রবিষ্ট্রষ্ঠ যদি গচ্ছেৎ ততঃ পুনঃ । তদা হসন্তি ভূতানি অস্তোন্তং করতাড়নস ॥ ৬২ কামক্রোধেন লোভেন গ্রস্তা যে ভুবি মানবাঃ নিষ্ক্রমস্তে নরা দেবি দ গুনায়কমোহুিতাঃ ॥৬৩ জপ-ধ্যান-বিহীনানাং জ্ঞানবর্জিতচেতসাম । ততো দুঃখহুভানাঞ্চ গতির্বারাণসী নৃণাম ॥ ৬৪ তীর্থীনাং পঞ্চকং সারং বিশ্বে শানন্দকানেন । দশাশ্বমেধং লেগের্বিঃ কেশবো বিন্দুমাধব ॥৬৫ মুক্ত ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির কদাপি পতনু সম্ভব নহে । যে নয় ঐ উত্তম অবিমুক্ত ক্ষেত্রে মুক্ত হয়, তাহার কল্পকোটি শত বা কল্পকোটি সহস্ৰকালে ও পুনরাবৃত্তি ঘটে না । মানব ঘোর সংসার-সাগরে নিরস্তর ভ্রমণ করিয়া কালে যদি অবিমুক্তে আসিয়া মণিকর্ণিকায় গমন করে এবং ঘোর কলিকালে মানবের শোচনীয় চিত্তবৃত্তির বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিয়া অবিমুক্ত ক্ষেত্র পরিত্যাগ না করে, তাহা হইলে তাহারা সিদ্ধমনোরথ হইয়া বিরাজ করে। যদি কোন ব্যক্তি অবিমুক্তক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া পুনরায় তথা হইতে নিঃস্থত হয়, তাহা হইলে অপরাপর জীবগণ করতালি প্রদান করিয়া তাছাকে উপহাস করিয়া থাকে । যে সকল মানব ভূতলে কাম, ক্রোধ ও লোভ প্রভূতিতে অত্যন্ত আসক্ত, তাহারাই দণ্ডনায়ক কর্তৃক মোহিত হইয়। অবিমুক্ত ক্ষেত্র হইতে নিক্রান্ত হয় । ৫০-৬৩। জপ, ধ্যান, ও জ্ঞান-বর্জিত ব্যক্তিগণের এবং হঃখোপছত নৱগণের, বারাণসী পুল্পীই একমাত্র গতি । বিশ্বেশ্বরের আনন্দ-কাননস্বরূপ এই অবিমুক্তে পাঁচটা শ্রেষ্ঠ তীর্থ আছে, যথা—দশাশ্বমেধ, লোলার্ক, কেশব, ধিন্দু