পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বংশেfছধ্যায়ঃ। . শর্য্যাতির্মেঘজাতিশ সগুৈভে বংশবৰ্দ্ধনঃ ॥ ৫ • যতিঃ কুমারভাবেইপি যোগী বৈখানসোহভবৎ যযাতিশচকরেীন্দ্রাজ্যং ধৰ্ম্মৈকশরণঃ সদা । ৫১ শৰ্ম্মিষ্ঠ তস্ত ভাৰ্য্যাভূদৃহিত বৃষপৰ্ব্বণ । ভাগবস্তাত্মজা তস্বদেবযানী চ সুব্রত ॥ ৫২ যযাতেঃ পঞ্চদায়ীদাস্তান প্রবক্ষ্যামি নামতঃ । দেবযানী যত্বং পুত্রং তুর্ধ্বমুঞ্চপ্যজীজনৎ ॥৫৩ তথাক্রহমন্ত্রং পুরুং শৰ্ম্মিষ্ঠাঞ্জনয়ং সুতান । যতঃ পুরুশচীভবতাং তেষাং বংশবিবৰ্দ্ধনেী । ৫৪ য়যাতির্মহুষশ্চাসীৎ রাজা সত্যপরীক্রমঃ । পালয়ামাস স মহীমৗজে চ বিধিবন্মখৈঃ ॥ ৫৫ অভিভক্ত্য পিতুনর্চ্য দেবীংশ্চ প্ৰযতঃ সদা । অথtজয়ৎ প্রজঃ সৰ্ব্বা যযাতিরপরাজিত ॥৫৬ স শাশ্বতীঃ সম রাজা প্রজা ধৰ্ম্মেণ পালয়ৎ । জরামাচৰ্ছন্মহাঘোরাং নাহুষে রূপনাশিনীম্ ॥ জরাভিভূতঃ পুত্রান স রাজা বচনমব্ৰবীৎ । যত্বং পুরুং তুৰ্ব্বমুঞ্চ ক্রহঞ্চামুঞ্চ পার্থিব ॥ ৫৮ যৌবনেন চলান কামান যুব যুবতিভিঃ সহ । পাচি, শর্য্যতি ও মেঘ জাতি । ইহঁদের মধ্যে যতি কুমার অবস্থায় বৈথানস যোগী হন এবং য যাতি ধৰ্ম্মপরায়ণ হইয়। রাজ্য পালন করেন। বৃষ পৰ্ব্ব হিত। শৰ্ম্মিঠ ও ভার্গবহুহিত। দেবযানী—ৰ্তাহার এই চুই ভাৰ্য্য। ছিলেন । যযাতির পাঁচ সন্তান ; তাহীদের মধ্যে দেবযানী যন্থ ও তুর্বিমুকে এবং শৰ্ম্মিষ্ঠা ক্রহ, অম্ল ও পুরুকে প্রসব করেন । এই সকলের মধ্যে যত্ন ও পুরু এই দুই পুত্ৰই বংশবৰ্দ্ধন ছিলেন । নহুষপুত্র যযাতি সত্যপরায়ণ রাজা ছিলেন এবং তিনি বহু যজ্ঞানুষ্ঠানপুরঃসর পৃথিবী পালন ও ভক্তিসহকারে দৈব ও পিত্র্য কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিতেন । তিনি অপরাজিত হইয়া প্রতিকুল প্রজা সকলকে শাসনে আনিতেন । এইরূপে তিনি বহুকাল ধৰ্ম্মাজুসারে প্রজা পালন করিয়া মহাঘোরা রূপনাশিনী জরা প্রাপ্ত হন । ৪২-৪৫৭ ৷ জন্নাগ্রস্ত হইয়া তিনি স্বীয় পুত্ৰ—যা, পুরু, তুৰ্ব্বস্ব, ক্রহ, ও অক্সকে বলিলেন,—হে

বিহুৰ্ভুমহুমিচ্ছামি সাহায্যং কুরুতাঙ্কজা । ৫৯ তং পুত্রে দেবযানেয়ঃ পূৰ্ব্বজে যন্ত্ররত্ৰবীৎ । সাহায্যং ভবতঃ কাৰ্য্যমৰ্ম্মাভিধেীবনেন কিম্ ॥ যযাতিরত্ৰবীৎ পুত্রান জরা মে প্রতিপৃহতাম । যৌবনেনাথ ভবতাং চরেয়ং বিষয়ানহুম্ ॥ ৬১ যজতে দীর্ঘসঞ্জৈর্মে শাপাচ্চেশিনসো মুনে । কামার্থঃ পরিহীনো মেহত্বপ্তোহহং তেন পুত্রকাঃ স্বকীয়েন শরীরেণ জরামেনাং প্রশান্ড বঃ । অহং তস্বাভিনবয়। যুব কামানবাপুয়াম ॥ ৯৩ ন তেহস্ত প্রত্যগৃহন্ত যন্থপ্রভূতয়ে জরাম । চতুরস্তান স রাজর্ধিরশপচ্চেতি ন জ্ঞতম ॥৬৪ তমত্ৰবীৎ ততঃ পুরুঃ কর্মীয়ান সত্যবিক্রমঃ । জয়াং মা দেহি নবয়। তম্ব মে যৌবনাৎ সুখী পুত্ৰগণ । যৌবনে বিবিধ বিষয়ে অভিলাষ হইয়া থাকে, এ জন্ত আমি যুব হইয়া যুবতীয় সহিত বিহার করিতে ইচ্ছা করি ; তোমরা যে কেহ স্বীয় যৌবন প্রদানে আমার সাহায্য কর । অনন্তর সর্বজ্যেষ্ঠ ॥দেবযানীপুত্র যত্ন বলেন,—আপনার সাহায্য করা আমাদের একান্তকৰ্ত্তব্য বটে, কিন্তু যৌবন প্রদান কি প্রকারে করিব ? যযাতি বলিলেন,— তোমাদের যৌবন প্রদান করিয়া তোমরা আমার জরা গ্রহণ কর । আমি যৌবন প্রাপ্ত হইয়া বিষয় সুখ অনুভব করি। দীর্ঘকালব্যাপী যজ্ঞ করিয়াছি ; উশানায় শাপে আমার কম ও অর্থ বিনষ্ট হইয়াছে, সুতরাং আমি তাহতে পরিতৃপ্ত হইতে পারি নাই। হে পুত্ৰগণ ! তোমরা স্বীয় শরীর বিনিময় করিয়া আমার এই জর গ্রহণ কর । আমি অভিনব দেহু ধারণ করত যুব হইয় অভিলষিত বিষয় উপভোগ করি। তখন যহ প্রভৃতি চারি পুত্রের মধ্যে কেহই র্তাহীর জর গ্রহণে সন্মত হইল না। শুনিয়াছি, এজষ্ঠ তিনি তাহাদিগকে শাপ প্রদান করেন । সৰ্ব্বকনিষ্ঠ পুরু তীহাকে বলিলেন,—হে পিতঃ ! আপনি আমার এই অভিনব তন্ত্র গ্রহণ করিয়া সুখী হউন,